ডাউনলোড করে দেখেছিলাম। এইর'ম বাংলা সিনেমা হয়? সত্যিই? এত নির্ভেজাল হাসি, এত নিখুঁত চরিত্রায়ন, জায়গায় জায়গায় ছড়িয়েছিটিয়ে সূক্ষ্ম রসবোধ (অথচ কোথাও সেগুলো বেমানান্ নয়), সাধারণ বাঙালির মননশীলতার প্রত্যেকটা দিকের এত সুন্দর চিত্রায়ন?
কে নেই?
রায়বাহাদুর-প্রত্যাশী জমিদার থেকে ফ্লপ ব্যান্ডগায়ক, বিদগ্ধ (অথচ র্যামসে ব্রাদার্সের ভক্ত) নকশাল থেকে মোগলাই রাঁধুনী - চৌধুরী প্যালেসে সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সবাই নিজের স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল - অথচ টুকটাক ঝগড়া ছাড়া কোনো বিরোধিতা নেই। আর সর্বোপরি সবাই ভীষণভাবে বাঙালি, আর ভীষণ ভীষণ চেনা। এমনকি ক্লিশেড জর্জ বেকারের সাহেব, যে সিনেমার যেকোনো সাহেবের মতই সাধুভাষায় কথা বলে আর (কোনো এক অজ্ঞাত কারণে) দন্ত্যবর্ণের উচ্চারণ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ (যদিও ইংরেজিতে দিব্যি ত্ থ্ দ্ ধ্ উচ্চারণ করতে পারে) - সেও যেন ছোটবেলার নানান্ গল্পের বইয়ের পাতা জুড়ে ছিল।
অপরাধী? তাও আছে। বাংলার ডাকাত, পাড়ার মস্তান, কন্ট্র্যাক্ট কিলার, লোভী প্রোমোটার: কোনো বাঙালি প্রোটোটাইপ বাকি নেই। আর আবার, কেউ বেমানান নয়। কেউ নয়। সবাই মিলেমিশে একাকার। অদ্ভুত সাবলীল সবার অস্তিত্ব।
আর তেমনি সংলাপ। আর তেমনি গানের কথা। জমজমাট চিত্রনাট্য, কোথাও কোনো ফাঁক নেই। কোথাও অর্থহীন নির্মল হাসি, কোথাও ভাষার দক্ষ ব্যবহার - আবার তার ফাঁকেই বারবার প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক ইঙ্গিত।
বড় স্ক্রিনে দেখার জন্য অদ্ভুত ডেস্পরেশন জেগে উঠল।
হঠাৎ একদিন খবর এল, পাওপুরীতে মুক্তি পাবে। দৌড়লাম। ৫-৪৫, ইনফিনিট আইনক্স। হাউসফুল? কুছ পরোয়া নহিঁ, আবার দৌড়। ৭-১৫, ইনর্বিট ফেম। সেখানেও প্রায় হাউসফুল, একদম সামনের দিকের টিকিট।
আর তারপর - শাড়ি, পাঞ্জাবিতে ভরে উঠল প্রেক্ষাগৃহ। অতঃপর - শুরু হল। দৃশ্যে দৃশ্যে হাসি, হাততালি। পঞ্চাশোর্ধ প্রৌঢ় থেকে ছট্ফটে টিনএজার - সবাই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। হবেনা কেন? সবাই বাঙালি যে! বলিউডসমৃদ্ধ শহরে উজ্জ্বল দ্বীপ হয়ে জেগে রইল দু'ঘণ্টার ফেম। চারপাশেবাংলাবঞ্চিত মূর্খ অবাঙালি জনতার সীমিত বুদ্ধিমত্তার ভাষার ধরাছোঁয়ার বাইরে আমরা সবাই দু'ঘণ্টার জন্য, আমরা, শ'খানেক পরস্পর-অপরিচিত বাঙালির দল, মাসের পর মাস মরাঠি সাইনবোর্ড দেখে, বড়াপাও খেয়ে তিতিবিরক্ত বাঙালির দল একে অন্যের আত্মীয় হয়ে উঠলাম তার মধ্যেই।
না, অচেনা বাঙালির প্রতি এই আত্মীয়তাবোধ অনেকদিন হয়নি। আর এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে "ভূতের ভবিষ্যৎ"-এর। এর থেকে ভাল সিনেমা হয়েছে। কিন্তু এর থেকে বাঙালি সিনেমা অনেকবছর হয়নি, অন্ততঃ গত কুড়িবছরে হয়নি।
অভিনয়ের কথা বলিনি এখনও। হাতকাটা কার্তিকের পাশে প্রায় সবাই ম্লান - যদিও ডার্পো, ভূতনাথ, আত্মারাম, গু-ছাইত, ভূতুড়িয়া, প্রমোদ (:D) প্রত্যেকেই অনবদ্য। কিন্তু - আহা - কদলীবালার মত কি আর কেউ হবে? কেউ ছিল?
মঁনঁ দেঁবঁনাঁ,
মঁনঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ
য়াঁমিঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ।
যঁদিঁ চাঁওঁ মঁনঁ নিঁতেঁ,
জেঁনেঁ রেঁখো তঁবেঁ মিঁতেঁ,
যঁদিঁ চাঁওঁ মঁনঁ নিঁতেঁ,
হঁবেঁ তাঁর মূঁল্যঁ দিঁতেঁ,
পাঁবেঁ নাঁকোঁ মোঁটেঁইঁ ফ্রীঁতেঁ
ফ্রীঁতেঁ পাঁআঁবেঁএঁনাঁআঁ -
মঁনঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ
য়াঁমিঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ।
ইয়েস, কদলীবালা রক্স্। শী ডাজ, বিগ টাইম!!
কে নেই?
রায়বাহাদুর-প্রত্যাশী জমিদার থেকে ফ্লপ ব্যান্ডগায়ক, বিদগ্ধ (অথচ র্যামসে ব্রাদার্সের ভক্ত) নকশাল থেকে মোগলাই রাঁধুনী - চৌধুরী প্যালেসে সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সবাই নিজের স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল - অথচ টুকটাক ঝগড়া ছাড়া কোনো বিরোধিতা নেই। আর সর্বোপরি সবাই ভীষণভাবে বাঙালি, আর ভীষণ ভীষণ চেনা। এমনকি ক্লিশেড জর্জ বেকারের সাহেব, যে সিনেমার যেকোনো সাহেবের মতই সাধুভাষায় কথা বলে আর (কোনো এক অজ্ঞাত কারণে) দন্ত্যবর্ণের উচ্চারণ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ (যদিও ইংরেজিতে দিব্যি ত্ থ্ দ্ ধ্ উচ্চারণ করতে পারে) - সেও যেন ছোটবেলার নানান্ গল্পের বইয়ের পাতা জুড়ে ছিল।
অপরাধী? তাও আছে। বাংলার ডাকাত, পাড়ার মস্তান, কন্ট্র্যাক্ট কিলার, লোভী প্রোমোটার: কোনো বাঙালি প্রোটোটাইপ বাকি নেই। আর আবার, কেউ বেমানান নয়। কেউ নয়। সবাই মিলেমিশে একাকার। অদ্ভুত সাবলীল সবার অস্তিত্ব।
আর তেমনি সংলাপ। আর তেমনি গানের কথা। জমজমাট চিত্রনাট্য, কোথাও কোনো ফাঁক নেই। কোথাও অর্থহীন নির্মল হাসি, কোথাও ভাষার দক্ষ ব্যবহার - আবার তার ফাঁকেই বারবার প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক ইঙ্গিত।
বড় স্ক্রিনে দেখার জন্য অদ্ভুত ডেস্পরেশন জেগে উঠল।
হঠাৎ একদিন খবর এল, পাওপুরীতে মুক্তি পাবে। দৌড়লাম। ৫-৪৫, ইনফিনিট আইনক্স। হাউসফুল? কুছ পরোয়া নহিঁ, আবার দৌড়। ৭-১৫, ইনর্বিট ফেম। সেখানেও প্রায় হাউসফুল, একদম সামনের দিকের টিকিট।
আর তারপর - শাড়ি, পাঞ্জাবিতে ভরে উঠল প্রেক্ষাগৃহ। অতঃপর - শুরু হল। দৃশ্যে দৃশ্যে হাসি, হাততালি। পঞ্চাশোর্ধ প্রৌঢ় থেকে ছট্ফটে টিনএজার - সবাই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। হবেনা কেন? সবাই বাঙালি যে! বলিউডসমৃদ্ধ শহরে উজ্জ্বল দ্বীপ হয়ে জেগে রইল দু'ঘণ্টার ফেম। চারপাশে
না, অচেনা বাঙালির প্রতি এই আত্মীয়তাবোধ অনেকদিন হয়নি। আর এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে "ভূতের ভবিষ্যৎ"-এর। এর থেকে ভাল সিনেমা হয়েছে। কিন্তু এর থেকে বাঙালি সিনেমা অনেকবছর হয়নি, অন্ততঃ গত কুড়িবছরে হয়নি।
অভিনয়ের কথা বলিনি এখনও। হাতকাটা কার্তিকের পাশে প্রায় সবাই ম্লান - যদিও ডার্পো, ভূতনাথ, আত্মারাম, গু-ছাইত, ভূতুড়িয়া, প্রমোদ (:D) প্রত্যেকেই অনবদ্য। কিন্তু - আহা - কদলীবালার মত কি আর কেউ হবে? কেউ ছিল?
মঁনঁ দেঁবঁনাঁ,
মঁনঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ
য়াঁমিঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ।
যঁদিঁ চাঁওঁ মঁনঁ নিঁতেঁ,
জেঁনেঁ রেঁখো তঁবেঁ মিঁতেঁ,
যঁদিঁ চাঁওঁ মঁনঁ নিঁতেঁ,
হঁবেঁ তাঁর মূঁল্যঁ দিঁতেঁ,
পাঁবেঁ নাঁকোঁ মোঁটেঁইঁ ফ্রীঁতেঁ
ফ্রীঁতেঁ পাঁআঁবেঁএঁনাঁআঁ -
মঁনঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ
য়াঁমিঁ দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ, দেঁবঁনাঁ রেঁ।
ইয়েস, কদলীবালা রক্স্। শী ডাজ, বিগ টাইম!!
oi "phuto/photo" joke-ta ektu nimnomaan-er chhilo. aar atmaram-ke payer majhkhan theke baar korte bolatao. baki jokegulo thikthak.
ReplyDeleteএক্ষুনি একটা লক্ষ্য করলাম। হাতকাটা কার্তিক প্রথম অ্যাপয়েন্টমেন্টে বিরক্ত হয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলে উঠবে "ধুর মড়া!"
Delete:D :D
ei cinema niye kothha bolte boshle sesh hobe na....eto bhalo cinema ekmatro bodh hoy intellectual bangali-rai paare....
ReplyDeleteKodolibala Zindabaad !!!!!!!!
Antaryaami kew thakle, aar shey blog likhle, erokom-ti-i likhto.
ReplyDeleteami khub alpo somoyer modhye por por tinbar dekhechi..r protyek bar e ekta kotha mone hoyeche,mane lobh e bola jay..bhobishyot(mane potol tolar pore) sotti erom "bhuture" hole amio gola chhere gaite chai-"o poran,o tui chhairya geli more...moirya giya bainchya gesi,r thorai care tore....":):D
ReplyDeletedarun likecho - asole nana dhoroner banglaee r soha bosthan dekano hoeche - jake bole 12 ghor ek uthon!! bhut ta icing on the cake!!
ReplyDeletechiner chowmein ... amader chowmein ... :D:D:D
ReplyDeleteei cinema ta karur opochonder bole sunini ar seta expected o noye
ReplyDelete