BANNER CREDITS: RITUPARNA CHATTERJEE
A woman with the potential to make it big. It is not that she cannot: she simply will not.
PHOTO CREDITS: ANIESHA BRAHMA
The closest anyone has come to being an adopted daughter.

Monday, October 20, 2014

অথ চতুষ্কোণ-চিরঞ্জিৎ-কথা

উৎস: চতুষ্কোণ-এর ফেসবূক পেজ
চতুষ্কোণ মানে একটা গায়ে কাঁটা দেওয়া ব্যাপার। চতুষ্কোণ মানে সৃজিতের নতুন সিনেমা। চতুষ্কোণ মানে টানটান চিত্রনাট্য। আর চতুষ্কোণ মানে অপর্ণা-গৌতম-পরমব্রত-কৌশিক ছাপিয়ে যাওয়া চিরঞ্জিৎ।

আমি আজন্ম থ্রিলার ভালবাসি, কাজেই সিনেমাটা কতটা জমবে তা নিয়ে রীতিমত সন্দেহ ছিল। বাইশে শ্রাবণ মন্দ লাগেনি, কিন্তু এটা নাকি আরও ভাল – ইন ফ্যাক্ট, লোকের কথা অনুযায়ী জাতিস্মর-এর থেকেও ভাল।

তুলনার মধ্যে যাচ্ছি না, কারণ জাতিস্মর আর চতুষ্কোণ এতটাই আলাদা যে তুলনা করতে যাওয়াটাই অযৌক্তিক।

***

এখান থেকে কিছু স্পয়লর আছে।

অনেক ভাট হয়েছে, এবার রিভিউয়ে আসি। এই সিনেমাটা দেখেই যে দুটো কথা মনে হল সে’দুটো আগে বলি –
১) এই সিনেমাটা দেখলে আগাথা ক্রিস্টির কথা মনে পড়তে বাধ্য;
২) গন্ধ পেলেও চতুষ্কোণ-এর সঙ্গে আগাথা ক্রিস্টির কোনও গল্পের সঙ্গে মিল নেই।

কিন্তু গল্পটাও আসল নয়। আসল হল সৃজিতের দুর্দান্ত, ঝক্‌ঝকে চিত্রনাট্য। সিনেমায় দুটো মূল ঘটনা, কয়েক দশকের ব্যবধানে। বেশিরভাগ ভারতীয় পরিচালকই এক্ষেত্রে ফ্ল্যাশব্যাকের সাহায্য নিতেন। সৃজিৎ সেটা অনায়াসে করতে পারত, কিন্তু ঐ, বাঙালির মাথায় পোকা নড়লে যা হয় – দুটো সমান্তরাল গল্পের রাস্তায় গেল।

কাজটা কঠিন ছিল, কিন্তু সৃজিৎ চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে। আর পরীক্ষায় বেশ অনার্স-টনার্স সমেত উতরে গেছে। দুটো সমান্তরাল গল্প ছাড়াও চতুষ্কোণ-এ কয়েকটা ছোটখাট গল্প আছে (বলে দিলে মজা নষ্ট হয়ে যাবে), সেগুলোও বেশ সুন্দরভাবে বলা। সবথেকে বড় কথা, গল্পগুলো – মূল আর পার্শ্বিক – এত সাবলীলভাবে একে অন্যের সঙ্গে বিচরণ করেছে যে সব মিলে একটা চমৎকার সিনেমা হয়েছে।

চতুষ্কোণ-এ গল্প ছাপিয়ে দাগ কেটেছে চিত্রনাট্য। গল্পটা সত্যি বলতে অসামান্য নয়; ক্লাইম্যাক্স আসার আগেই মোটামুটি বোঝা গেছে। কিন্তু ঐ – ভাল গল্প আর ভাল সিনেমা তো এক নয়; টানটান গল্প মানেই যেমন গায়ে কাঁটা দেওয়া সিনেমা নয় (চিড়িয়াখানা) তেমনই উল্টোটাও সত্যি; টানটান সিনেমার জন্য ভাল গল্পের দরকার হয় না (সোনার কেল্লা)।

এখানেই চতুষ্কোণ-এর সাফল্য। চতুষ্কোণ দুর্দান্ত, কিন্তু সেটা গল্পের জন্য নয়। চতুষ্কোণ দুর্দান্ত, কারণ তার স্ক্রিপ্ট অসাধারণ, তার মেকিং দারুণ, হল থেকে বেরোলেও চট্‌ করে মন থেকে যায় না, আর সবথেকে বড় কথা, আবার দেখতে ইচ্ছে করে (এর থেকে বড় কমপ্লিমেন্ট থ্রিলারের জন্য আর কী হতে পারে?)।

ইমোশনের বাড়াবাড়ি নেই কোথাও, দুটো আলাদা গল্পের মধ্যে বিচরণ অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ, কৃত্রিম মনে হয়নি কখনও, ঘটনার ঠাসবুনোটের ফলে সিনেমার গতি কোথাও কম্প্রোমাইজ্‌ড্‌ হয়নি।

গতি।

চতুষ্কোণ-এর সবথেকে বড় ইউএসপি হল তার গতি, আর তার ওপর সৃজিতের নিয়ন্ত্রণ। গতি মানে কিন্তু উসেন বোল্টসুলভ তিনটে-খুন-চারটে-ডাকাতি-সত্তর-মিনিটে সিনেমা-শেষ নয়; এখানে সিনেমার রাশ সৃজিতের হাতে, যেখানে টানা দরকার টেনেছে, যেখানে ছাড়া দরকার ছেড়েছে।

[টুকটাক কিছু বাড়তি, অপ্রাসঙ্গিক দৃশ্য ঢুকেছে হয়ত, কিন্তু ঠিক আছে।]

সংলাপের প্রসঙ্গে আসি। সৃজিতের সিনেমায় সংলাপ আমার একটা বরাবরের অস্বস্তির জায়গা: সবাই সামহাউ খুব বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলে। এখানে যেহেতু সিনেমার মূল চরিত্রের প্রত্যেকে বুদ্ধিমান্‌, বিদগ্ধ, তাই তাদের মুখে সংলাপ বেমানান লাগেনি। ঘ্যাম লোকেরা তো ঘ্যাম ডায়লগই দেবে, তাই না?

আমি ক্যামেরার কাজ খুব কম বুঝিটুঝি, কিন্তু প্রথম দৃশ্যটা অনেকদিন মনে থাকবে। আর মনে থাকবে জয়ব্রত (পরমব্রত) আর তৃণা (অপর্ণা)-র গলায় খুব, খুব প্রাসঙ্গিক জয় গোস্বামী।

[সিনেমায় অনেকগুলো সুন্দর, সূক্ষ্ম রেফারেন্স, অ্যানোটেশন আছে। বলে দিয়ে মজা নষ্ট করব না।]

পরমব্রত স্মার্ট, ইন ফ্যাক্ট, অনেকদিন এত ভাল অভিনয় করতে দেখিনি। অপর্ণা নিয়ে নতুন করে তো কিছু বলার নেই; এখানে গৌতম ঘোষের রোল বাইশে শ্রাবণ­-এর মত বলিষ্ঠ নয়, বরং চতুষ্কোণ-এর এক্কেবারে শেষ, চতুর্থ কোণ হয়ত তিনিই। ছোট ছোট ভূমিকায় নীল, অর্পিতা, কনীনিকা, দেবলীনা, শান্তিলাল হতাশ করেন নি। কৌশিক গাঙ্গুলি, বরুণ চন্দ রীতিমত ইম্প্রেস করেছেন; রাহুল-ইন্দ্রাশিস্‌-পায়েলও খারাপ না।

কিন্তু – চিরঞ্জিৎ! চিরঞ্জিৎ! কেউ ভেবেছিল? কী করলেন স্যার, কুড়ি-পঁচিশ বছর জলে দিলেন? এইর’ম অভিনয়ের ক্ষমতা রাখেন আপনি, এইভাবে নষ্ট করলেন? অনেকদিন থাকবে স্যার, আপনার অভিনয়। কী অনায়াস অভিনয়, জঙ্গলের দৃশ্যে এমনকি অপর্ণাকেও ম্লান করে দিলেন স্যার!


শ্রেষ্ঠ কোণ এক্কেবারে নিঃসন্দেহে আপনি। আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক। চতুষ্কোণ এমনিতেও দুর্দান্ত, কিন্তু আপনি ব্যাপারটাকে একটা অন্য স্তরে নিয়ে গেলেন। আপনার টালিগঞ্জকে অনেককিছু দেওয়ার আছে; নিন, অনেক হয়েছে, এবার একটা একটা করে এইরপ’ম পার্ফর্মেন্স ছাড়ুন তো বাজারে!

Monday, October 13, 2014

Yatrik: a word or two

Courtesy: Westland website
I had attended the book launch of Yatrik, which meant that I had missed out on the discounts on Amazon and Flipkart and had to pay the full amount on Crossword. I had vowed to extract the amount from Arnab if the book was a letdown.

It was not.

As Arnab has himself mentioned, Yatrik is a full-length novel, and is not a travelogue, despite the name. Though the name rhymes with hat-trick, it is also not a book on cricket. Yatrik is a novel, or if you mind the pun, a rather novel novel.

Yatrik is a beautiful book. As it was with The Mine, Yatrik has that ability to keep the reader hooked to the book, which is perhaps the finest tribute a critic can pay to a writer. It is addictive, it is a page-turner, it is well-paced, but that is not what Yatrik is about.

Comparisons with The Mine are inevitable, despite the fact that they belong to completely different genres. The Mine was grotesque, macabre, and one of the first successful attempts at horror by an Indian author. Just like The Mine, Yatrik starts off with a death in the first chapter. Then the courses change.

This review will not contain a spoiler (barring whatever is there on the back cover of the book), so you may read on. Yatrik starts with Anushtup (that is the protagonist’s name, and do not ask me why he chose that name) being told he is dead.

The usual afterlife stuff, I had thought. This will probably get into some deep philosophical reading. I will have to extract the cash from him. Or maybe get it wired. Or whatever.

But Yatrik went on at a breakneck pace. I kept turning pages. Characters were born. They evolved. They were dissected. New characters arrived. It was evident that unnecessary details had been pruned. The writing was more mature than The Mine.

Yatrik leaves with a hollow because it deals with life more than it does with death. Just like The Mine, it asks us with a few basic questions, perhaps the deepest of which is why we, most of us, believe in destiny to the extent we do.

The general consensus among the unsuccessful is that life has been unfair to them. They seldom question why. Yatrik makes you ask. It gives you a sneak peek behind the scenes of life. It makes you understand that while we are often victims of “destiny” ourselves, it is us who sometimes trigger the “destiny” that go on to make life unfair for others, thus bringing things to a full circle.

That is a philosophy few books deal with. Books typically use karma as the protagonist or the antagonist. Yatrik deals with the concept that karma exists, but one man’s karma can affect the other. It is not necessarily a one-on-one concept.

Kolkata manages to peek in throughout the book: Kolkata, as seen from the viewpoint of a politically active college student, of someone who works in a call centre or in a departmental store, is easily the other protagonist of the book. There is politics, both on campus and off it. Why, there is even a chit fund scam!

As for the cons, the dialogues could have been better-written. As with The Mine, I got the feeling that Arnab is still struggling to find the balance between English and Hinglish, and that is certainly not his fault. Most would have given in to the latter by now.

But we are digressing here. Yatrik is not only about Anushtup or Kolkata. It is about life; it is about the seemingly infinite cycle of highs and lows (remember chakravat parivartante sukhani cha dukkhani cha?); it is about realising that neither joy nor sorrow is permanent; it is about realising that life is all about moments we live and the art of cherishing them.

Do read it. It is not the usual yadda yadda. It is well-written, too.

***

PS: 
There is a very, very minor factual error in the book. I do not think many will be able to catch it. But then, The Chamber of Secrets, created a thousand years back, had to be accessed by modern plumbing...

PPS:
O Arnab, will you please re-visit The Coffee House menu card?

***

Sunday, October 5, 2014

Durga Pujo and #HokKolorob

Courtesy: Somnath Roy and Saikat Bandyopadhyay
Everything stated here is based on recollections of eye-witnesses

While one of the largest ethnic groups in the world was busy celebrating their biggest selfie season, a small group decided to keep #HokKolorob going. To be fair, they had their own set of selfies as well, but these selfies would not be too out of place in history books of generations to come.

There was  a clarion call for #HokKolorob-ers on Facebook on Oshtomi and Nobomi, supposedly the grandest days in the City of Joy. Nobody took them seriously: it was, after all, Pujo — the season that smells of new clothes, perfume, and stale chilli sauce.

Oh, and the location! The location! Who on earth would want to brave them at Maddox Square, that rectangular stretch of non-grass where heaven descends four days a year to lure males from all corners of the city?

But #HokKolorob roared back, and how! They marched inside the non-greenest of grounds, heads high, banners in their proud hands, the blaring microphone drowned in a kind of protest Kolkata has seldom seen: music. During Pujo.

“#HokKolorob,” they roared (sans the hashtag, because “hashtag HokKolorob” sounds un-cool). “#HokKolorob”, the others echoed back.

It was too good to go on uninterrupted. The organisers arrived at the scenario. Apparently they had received a letter from Police Headquarters last night: the organisers have been accused of providing #HokKolorob with “space”, of entertaining #HokKolorob.

The organisers requested #HokKolorob-ers to not “spoil” the Maddox Square Pujo. They requested, because requesting politely is still fashionable among certain people.

#HokKolorob obviously had no such intention (it would have been rather ambitious: who on Earth can “spoil” a Maddox Square Pujo?). They wanted to be a part of it; they wanted to be another group who would sit in the glamorous section of the Pujo and keep to themselves, their music, and their posters.

The tone changed slightly. There was apparently a threat that if the trend (of music and calligraphy) spread through the ground the precious Pujo environment will be “spoiled”.

***

Summary of the above paragraph:
The organisers were scared that their Pujo may be “spoiled” if everyone present at the ground took to music and calligraphy.

***

They kept insisting, the tone seamlessly fluctuating between requests and commands. The latter may have to do with the fear of police and administration. Having grown up in the locality I have never come across a rude Maddox Square Pujo Organising Committee.

#HokKolorob agreed: the venue was shifted to outside the ground, between the southern and eastern gates (in other words, around the Richie Road-Valmeek Street crossing). They protested. Through music. And banners. Especially “VC tumi dushtu lok, tomar mathay ukun hok1.

People — youngsters or otherwise — ignored the fragrance of new clothes, perfume, and stale chilli sauce to gather around the group. They were curious: what is #HokKolorob? Will they come in aid of students of other colleges as well?

Dusk melted into evening amidst Pujo light. They never stopped singing. Roads were not blocked (special care was taken to ensure that). The passers-by often stopped by to join in the chorus. #HokKolorob continued.

The confused organisers stood on the pavement on the other side — flanked by police —with a “why us?” look. The policemen were certainly not amused by slogans like “police tumi marle eto, maine tomar barlo koto?2 or “police tomay japte dhore / gan shonabo bisri shure3.

No, the police did not dare touch #HokKolorob-ers. But they prepared themselves — for the next evening at Laboni. Nobomi night was also supposed to be an onslaught of posters and music.

***

Nobomi was when the police struck. There were representatives from the Special Branch. They wanted to interrogate certain #HokKolorob-ers. Then they arrived.

Two police vans arrived on the scene. It was déjà vu for students present on that dreadful night at the campus on September 17. Some #HokKolorb-ers were painting banners on the road-divider. The police went for them.

Things started with interrogations, but were soon elevated to threats. When it was pointed out that they were not doing anything illegal, the police arrested 13 #HokKolorob-ers.

Media stepped in. They had to step in. On probing it was revealed that the #HokKolorob-ers had been arrested under Section 151 of the penal code.

Section 151:Knowingly joining or continuing in assembly of five or more persons after it has been commanded to disperse. Whoever knowingly joins or continues in any assembly of five or more persons likely to cause a disturbance of the public peace, after such assembly has been lawfully commanded to disperse, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to six months, or with fine, or with both.

Meanwhile, the other #HokKolorob-ers waited at the bus-stand, and were asked by the police to leave. When the confused #HokKolorob-ers asked for a reason, the following conversation ensued:

Police: Please do not stand here.
#HokKolorob-er: Why can we not stand here?
Police: We are not misbehaving with you.
#HokKolorob-er: We never said anything about misbehaving. We just want to know exactly why we cannot stand here.

Silence.

#HokKolorob-er: Why were our friends arrested?
Police: Oh, so you have not got that? Come to the police station, we will explain you.

The 13 #HokKolorob-ers were released after an hour and a half. Some of them returned to Laboni. Some did not. Then #HokKolorob tuned in with the ubiquitous “we shall overcome...”

***

There is a lot to overcome, it seems. Exactly why police get away with brutal assaults on students and manhandling girls while #HokKolorob-ers get arrested for painting banners remains unknown.

Kolkata probably cares. She probably does not, despite having witnessed 1905, 1946, and 1971. She goes on nevertheless in sensuous meanders from Laboni to Maddox Square and beyond. She had cried her heart out the day #HokKolorob took centrestage on September 20.

Some day she will join in the march to overcome as well. Some day she will respond to #HokKolorob.

***

Translations (I am terrible at this):
1 VC, you’re not-so-nice. May your hair be full of lice.
2 Police, you did us bash. Did you get a lot of cash?
3 Police, we will hug you tight; and create a racket with all our might.

Followers