হাওড়া ব্রিজে উড্ডীন ডিটেকটিভ বেওমকেশ বাকশি Courtesy: India.com |
বেওমকেশ বাকশির সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল বোধকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনরূমে।
পয়সার আমার টানাটানি থাকার কথা ছিল না, কিন্তু পিতৃদেব যে শুধু
দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিলেন তাহাই নহে, উপরন্তু চাকরি হইতে বিতাড়িত হইলেন। তিনি
ঠিক কী করিতেন জানা নাই, কিন্তু শুনিয়াছি আফিম-কোকেন জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু লইয়া
নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করিতেন।
স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন
অতিবাহিত করিব, কিন্তু সে গুড়ে বালুকাকণা। পিতৃদেব একদিন বেবাক
নিরুদ্দেশ হইলেন।
কিন্তু ও কথা যাক্। এই কাহিনী বেওমকেশের। বেওমকেশ ছিল
বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। শুনিয়াছিলাম সে অতিশয় বুদ্ধিমান্। কীভাবে, কেন এই সুনাম তাহার জুটিয়াছিল, ইতিহাস তাহা মনে রাখে নাই। শাস্ত্রে লেখা আছে, পিতা নিরুদ্দেশ হইলে অপরিচিত ব্যক্তির সাহায্য লইতে হয়, তাই আচমকা তাহার শরণাপন্ন হইলাম।
বেওমকেশ মহা খলিফা ছেলে। সে কোনওরূপ সহানুভূতিজ্ঞাপক কথা তো বলিলই না,
উপরন্তু বুঝাইতে বসিল পিতৃদেব কীভাবে নিরুদ্দিষ্ট হইয়া থাকিতে পারেন। আমি বরাবরের রগচটা,
যুক্তির ধার ধারি না, ধাঁই করিয়া মুষ্ট্যাঘাত করিয়া বসিলাম।
ব্যাস্, অমনি বেওমকেশ কফিহাউসে গিয়া চা আর আলুভাজা খাইতে বসিয়া গেল। তাহার
পর কোনওরূপ ভণিতা ছাড়াই একদিন বেওমকেশ আর আমার বাক্যালাপের পুনরায় সূচনা ঘটিল।
বেওমকেশের জীবনে ইতিপূর্বে লীলার রূপ ধারণ করিয়া মদনদেব আবির্ভূত
হইয়াছিলেন, কিন্তু মদনদেবের লীলা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নহে। লীলা বেওমকেশকে
পত্রপাঠ লেঙ্গি মারিয়া কোন্ এক গোল্ড মেডালিস্টকে বিবাহ করিল।
সেই শুরু। তাহার পর হইতে বেওমকেশ জেমস বন্ডের ভাষায় কথা বলে। আমাকে সে
নাম বলিল, “বাকশি। বেওমকেশ বাকশি।”
চমৎকৃত হইলাম। সন ১৯৪৩। সিনেমা দূর অস্ত, ফ্লেমিংসাহেব বন্ডকাহিনী লিপিবদ্ধ করিতেও শুরু
করেন নাই। কলিকাতা শহরে নাম বলিবার এইরূপ পদ্ধতি অভূতপূর্ব। আমিও বলিলাম,
“ব্যান্ডো। আজিট্ ব্যান্ডো।”
অবিলম্বে মিত্রতার সূচনা হইল। যাহাকে ইংরেজিতে বলে বন্ড।
***
বেওমকেশ অবিলম্বে এক মেসে গিয়া উপস্থিত হইল। মেসের মালিক এবং
ম্যানেজার অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। বেওমকেশ পুনরায় নাম বলিল, “বাকশি। বেওমকেশ বাকশি।”
জনৈক ব্যক্তির পায়ে সম্ভবতঃ গুলি লাগিয়াছিল, ম্যানেজারসাহেব ‘এমন-তো-হইয়াই-থাকে’
গোছের মুখ করিয়া বলিলেন, “গুহা। আনুকুল গুহা।” বেওমকেশ পত্রপাঠ মেস-গুহায় প্রবেশ
করিল।
গুহামানব মেসের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহিত আলাপ করাইয়া দিলেন। বেওমকেশের
পাশে এক চীনেম্যান, তাহার নাম কানাই। নির্ঘাত লুকাইয়া আরশোলা খায়।
আমার পাশের ভদ্রলোকের নাম প্রফুল্ল রায়, বীমা কোম্পানির এজেন্ট। আমি স্তম্ভিত
হইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “সে কী, আপনার তো গ্রামোফোন-পিন ঘটনার আগে আসার কথা
নয়!”
প্রফুল্ল রায় হাসিল। এক একজন লোক আছে, তাহাদের মুখ দেখিতে বেশ সুশ্রী,
কিন্তু হাসিলেই মুখের চেহারা বদলাইয়া যায়। দেখিলাম, প্রফুল্ল রায়েরও তাহাই হইল।
জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কি অতিরিক্ত পান খান?”
প্রফুল্ল রায় ফিসফিস করিয়া বলিল, “খাই, তবে ব্যোমকেশের গল্পে।”
“অর্থাৎ?”
“অর্থাৎ, বুঝ লোক জান যে সন্ধান।”
বুঝিলাম। যেখানে প্রফুল্ল রায় সেখানেই পান। ব্যোমকেশের
কাহিনীতে সে পান খাইত। বেওমকেশের কাহিনীতেও পানের মুখ্য ভূমিকা অবশ্যম্ভাবী।
পরিস্থিতি অনুকূল দেখিয়া গুহাবাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এত যে
খাওয়াচ্ছেন, এ তো ১৯৪৩ সন! মন্বন্তর না? চাল বাড়ন্ত, কলকাতার চাল আসছে বর্মা
থেকে, দাম আকাশছোঁয়া, রাস্তাঘাটে মানুষ সামান্য ফ্যানের জন্য হাহাকার করছে...”
গুহাবাবু স্মিত হাসিলেন। “এই তো হেঁটে এলেন, একটাও বুভুক্ষু মানুষ
দেখতে পেলেন? ওসব ইতিহাসে হয়েছিল। বেওমকেশের গল্পের ব্যাপারই আলাদা।”
মানিতে বাধ্য হইলাম। ভৃত্য আরেক দফা ভাত দিয়া গেল। লক্ষ্য করিলাম, সে অতিশয়
ক্ষীণজীবী, হাত ঠকঠক করিয়া কাঁপিতেছে।
নাম জিজ্ঞাসা করিলাম। পুঁটিরাম। তাহার ঐ এক অসুখ, হাত স্থির হয় না।
***
পরদিন সকালে বেওমকেশ গঙ্গার ধারে আসিয়াছিল, জনৈকা মহিলা কস্ট্যুম
পরিয়া গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন। আমি বলিতে গেলাম, ১৯৪৩, গঙ্গায় মড়া ভাসিতেছে... কিন্তু
দেখিলাম, তাহার চিহ্নমাত্র নাই।
ভাবিলাম, বেওমকেশের কাহিনীতে সবই সম্ভব। জিজ্ঞাসা করিলাম, “বেওমকেশ?
ইনি কে? ইনি কি গুপ্তচর?”
বেওমকেশ হাসিল। “নাঃ। মনে হয় ইনি মাতাহারি হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হয়ে
উঠতে পারেন নি। এঁর নাম আঙুরীদেবী, ইনি অভিনেত্রী।”
“আঙুরীদেবী?”
“আঙুর শুনেছ তো?১৯৪৩ মানে টালিগঞ্জের আদিযুগ। ইনি স্বস্তিকা
মুখোপাধ্যায়। মনে করে দেখো, ইনি কদলীবালা নামেও অভিনয় করেছেন।”
“কিন্তু বেওমকেশ... স্বস্তিকা... আঙুর...”
“তুমি একটা ইয়ে। এখন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে? নাৎসীদের চিহ্ন কী?”
মুহূর্তমধ্যে দিব্যদৃষ্টি লাভ করিলাম।
আঙুরীদেবী অতিশয় লাস্যময়ী মহিলা। ইতিমধ্যে সত্যবতীর আবির্ভাব ঘটিয়াছে।
সত্যবতী সেলাই করে এরূপ প্রমাণ পাই নাই, কাজে থিম্বল-সংক্রান্ত জটিলতা নাই।
মেডিকাল বইয়ের লাল পেন্সিলের দাগের প্রশ্নই ওঠে না, কারণ সুকুমার এখানে
স্বাধীনতা-সংগ্রামী।
আঙুরীদেবী জিজ্ঞাসা করিলেন, “বেওমকেশবাবু, আপনি কি ব্যক্তিগত
প্রপার্টিতে ঢুকে থাকেন?”
বেওমকেশ অদম্য। “কোথাও তো লেখা ছিল না যে প্রপার্টি আপনার
ব্যক্তিগত।”
আঙুরীদেবী হাসিয়া উঠিলেন। “আপনার বেডরূমের বাইরেও তো লেখা থাকে না যে
ব্যক্তিগত, আমি কি ঢুকি?”
অকাট্য যুক্তি। অবিলম্বে প্রস্থান করিলাম।
***
আঙুরীদেবী বাথটবে শুইয়া ছিলেন। আকণ্ঠ
সাবানের ফেনা, তাহার উপরে দুগ্ধফেননিভ মসৃণ ত্বক। বোম্বাইয়ের ভবিষ্যৎ নায়িকাকুল
লাক্স মাখিয়া এইরূপ স্নান করিয়া বিখ্যাত হইবেন। অপরূপ সে লাক্সারি।
বেওমকেশ প্রবেশ করিয়া মূঢ়বৎ দাঁড়াইয়া রহিল, অতঃপর চক্ষু অবনত করিল।
আঙুরীদেবী বলিলেন, “নারীর জীবনে স্নানের থেকেও ব্যক্তিগত কী, জানেন?”
বেওমকেশ জীবনে এইরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হয় নাই, নির্বাক চক্ষে আঙুরীদেবীর
নিরাবরণ কণ্ঠদেশ পর্যবেক্ষণ করিতে লাগিল।
“ব্যাগ। আপনি আমার ব্যাগ ঘেঁটেছেন, এরপর স্নানের সময় আপনি থাকুন-না
থাকুন, আমার কিছু যায় আসে না।”
এহেন যুক্তির বেড়াজালে পরাজিত হইয়া বেওমকেশ পত্রপাঠ প্রস্থান করিল।
***
ইতিমধ্যে নানাবিধ ঘটনা ঘটিতেছিল। গুহাবাবু ও বেওমকেশ কারখানার তালা
ভাঙিতে গিয়া বিহারী দরোয়ানের হাতে ধরা পড়িলেন। বেওমকেশ গুহাবাবুকে বলিল ইংরেজি
বলিতে, তিনিও প্যারী সরকারের ফার্স্টবুক ভুলিয়া “মেরি হ্যাড্ আ লিট্ল্ ল্যাম্”
আবৃত্তি করিতে লাগিলেন।
কারখানায় পিতৃদেবের মৃতদেহ আবিষ্কার হইল; তাহার পর মানুষ টপাটপ্ খুন
হইতে লাগিল। ওয়াটানাবে নামক জাপানী দন্তচিকিৎসকের চেম্বার গিয়া শুনিলাম
মধ্যাহ্নভোজনের পর তাঁহার চিকিৎসায় রুচি থাকে না; তখন তিনি জাপানী ভাষার ক্লাস নেন।
শুনিয়াছিলাম পুরাতন কলিকাতার অধিকাংশ দন্তচিকিৎসক চীনদেশোৎপন্ন ছিলেন।
জাপানদেশীয় ভদ্রলোকের এইরূপ দ্বিবিধ কার্যকলাপ শুনিয়া বিস্মিত হইলাম। ভক্তি আরও
বাড়িয়া গেল, যখন ওয়াটানাবে বেওমকেশের উপর কেন্দোর প্যাঁচ কষাইলেন।
কেন্দো মারিয়া ওয়াটানাবে কহিলেন, “ইটস ডিফারেন্ট।” ঘাবড়াইয়া গেলাম। ভাবিলাম, ম্যাগি কোম্পানির বোতলবন্দী মিষ্টকটু বিলাতী-বেগুন-ক্বাথের কথা বলতেছেন।
***
কেন্দো মারিয়া ওয়াটানাবে কহিলেন, “ইটস ডিফারেন্ট।” ঘাবড়াইয়া গেলাম। ভাবিলাম, ম্যাগি কোম্পানির বোতলবন্দী মিষ্টকটু বিলাতী-বেগুন-ক্বাথের কথা বলতেছেন।
***
ফিরিয়া আসিয়া বেওমকেশ কহিল, “আই অ্যাম আ মোরন। ”
১৯৪৩এর কলিকাতায় এইরূপ ভাষা শুনিতে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। “বেওমকেশ,
মোরন মানে কী?”
“মোরন মানে জানো না? মোরনদশা!”
মোরন ইত্যাদি বলিয়া বেওমকেশের বায়ু কুপিত হইল, পেটের রোগ দেখা দিল।
সত্যবতী মেসে উপস্থিত হইল, কিন্তু তাহা নিতান্তই সমাপতন। সে আসিয়াই বেওমকেশের
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করিতে ব্যগ্র হইয়া উঠিল, আর বেওমকেশকে বলিল, সুকুমারকে
বাঁচাইতে পারিলে বেওমকেশ যাহা চাহিবে, সে তাহাই দিবে।
সত্যবতী যাইবার পর বেওমকেশকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ঘর অন্ধকার করে
রেখেছিলে কেন?”
“একে নোয়ার এফেক্ট বলে। তুমি বুঝবে না। এখানে দরকার ছিল না, কিন্তু
তাও এটা দেওয়াটা স্টাইল।”
অগত্যা চুপ করিলাম। সেই রাত্রে বেওমকেশ হেরোইন খাইয়া চুন-খয়ের দিয়া
দেওয়ালে শিল্পকর্ম সম্পন্ন করিল। পরদিন সে এক কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে উপস্থিত হইয়া
লীলার স্বামীর সন্ধান করিল। ভাবিলাম বেওমকেশ তাহাকে উত্তমমধ্যম দিবে, কিন্তু সে
রক্তপরীক্ষা করাইয়া প্রস্থান করিল।
শীঘ্রই বেওমকেশ আক্রান্ত হইল। আমি সকলকে উত্তমমধ্যম দিলাম (আজিট
ব্যান্ডো অত্যন্ত বলবান্ ব্যক্তি), কিন্তু জানিতে পারিলাম এই ঘটনার হোতা স্বয়ং ডেপুটি
কমিশনার উইল্কি। যাবতীয় পরিশ্রম জলে যাইল, লাভের মধ্যে জানিতে পারিলাম আমাদের
মেসের চীনেম্যান স্বয়ং পুলিশ কর্মচারী।
***
অতঃপর শেষ দৃশ্য। বেওমকেশ কাহিনী বলিল সকলকে। গুহাবাবু হাসিতে
লাগিলেন। ভাবিলাম, তাঁহার হাঁপানির টান উঠিয়াছে, কিন্তু এ সত্যই হাসি।
গুহাবাবু এক হেরোইন পাচারকারী; জাপানীদের সঙ্গে হাত মিলাইয়া তিনি
কলিকাতা দখল করিতে চান। এই মন্বন্তরের বাজারে কলিকাতা দখল করিলে জাপানীদের আদৌ লাভ
হইবে কিনা তাহা ভাবিতে বসিলাম, কিন্তু উপলব্ধি করিলাম বেওমকেশের কাহিনীতে অন্নাভাব
হয় না।
জানিতে পারিলাম আঙুরীদেবীর প্রকৃত নাম ইয়াসমিন; তিনি একজন গুপ্তচর (মাতাহারি
হইবার শখ ছিল কিনা তাহা অজানাই রহিয়া গেল) এবং গুহাবাবুর প্রেমিকা। রেঙ্গুনে তাঁহাদের
প্রেমের সূচনা ঘটিয়াছিল। গুহাবাবুর প্রকৃত নাম ইয়ুং গন। রেঙ্গুনের নাম যে পরবর্তীকালে
ইয়ঙ্গন হয়, তাহা সম্ভতঃ ইয়ুং গনের নামেই।
ইয়াসমিন গুলি চালাইল, কিন্তু ইয়ুং গন অজর অমর অদাহ্য। তিনি শুধু
যে অক্ষত রহিলেন তাহাই নহে, ছুরিকাঘাতে প্রেমিকাকে হত্যা করিলেন। অতঃপর সাইরেন
বাজিতে লাগিল ও দুর্ধর্ষ অন্ধ চৈনিক দস্যু দলবল লইয়া আসিয়া পড়িল ও ইয়ুন গংকে লইয়া
প্রস্থান করিল।
পরদিন প্রভাত। বসন্ত পঞ্চমী। আমি বাগ্দেবীর
পূজারী, কিন্তু সরস্বতী পূজার ব্যাপারে আমার বিশেষ আগ্রহ নাই। পুঁটিরামকে চা করিতে
বলিলাম, আর মুগ্ধদৃষ্টিতে দেখিলাম, সুকুমারের প্রাণরক্ষার বিনিময়ে বেওমকেশ
সত্যবতীকে বিবাহ করিতে চায়।
দুর্ধর্ষ চৈনিক দস্যুদের হত্যা করিয়া অন্যত্র ইয়ুন গং বেওমকেশের উপর
প্রতিশোধ লইতে বদ্ধপরিকর হইলেন। বেওমকেশ তাহা জানিতেও পারিল না।
যেমন আমি জানিতে পারিলাম না, বেওমকেশ কেন জানিতে চাহিয়াছিল, আমি তাহার
অপেক্ষা জ্যেষ্ঠ না কনিষ্ঠ। “অর্থমনর্থম্”এ একটা ব্যাখ্যা ছিল বটে, কিন্তু
বেওমকেশ তাহার ধার ধারে নাই।
***
উড়ন্ত বেওমকেশের দুরন্ত ছায়াছবির এখানেই পরিসমাপ্তি।
ja ta ja ta!! eta puro ki mishti buniip go leveler hoeche :D :D
ReplyDeleteছিঃ, বেওমকেশকে নিয়ে হাসাহাসি?
Deletena na, hahi ni to, amar mukhtai oirakam
Deleteআমাকে এসব বলে পার পাবি। বেওমকেশকে বলে দেখিস্।
Deleteore baba, alubhaja khawa beomkesh, amar bujhi prane bhoy nai!!!
Deleteচায়ের সঙ্গে আলুভাজা, হুঁ হুঁ বাওয়া!
DeleteBoroi poritreepti laabh korilaam.
ReplyDeleteআপনাকে পরিতৃপ্ত করিয়া আমি ধন্য।
DeleteLibeet
Deleteতোর মনে পাপ।
DeleteZaa taa :D
ReplyDeleteভাল না খারাপ?
DeleteAhahahahahaha. Daroon hoyeche. Amar jodio cinema ta oto kharap lageni. :p
ReplyDeleteবেওমকেশের সিনেমা খারাপ লাগতে পারে কারুর?
Deleteমানতে পারলাম না
ReplyDeleteকিন্তু কী?
Deleteeta just tukhoR hoyechhey!
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
Deleteআই জাস্ট লাব্দিস। আই জাস্ট লাব্যু।
ReplyDeleteআই ডোন্নোয়ু, বাট থ্যাঙ্ক্যু।
DeleteBeomkesh nehat i be-ektiar dakha jache. Osadharon review, cinema tar chaye dher bhalo.
ReplyDeleteধন্যবাদ!
Deleteনোংরা হয়েছে। অসাম শালা!
ReplyDeleteআরে, সবই বেওমকেশের কৃপা, মশাই।
Deleteeta review kom + golpo bola beshi hoyechhe, obviously bhalo, but ei subject ta niye tomar kotha (eitateo achhe but r ektu beshi) lekhar kono porkolpona achhe ki?
ReplyDeleteনা। অত সাহস নেই।
DeleteEta ki likhechho? uufff pet byatha korchhe ebar uufff :D
ReplyDeleteআহা, তোর পেটব্যথা করাতে চাইনি রে। ভাল থাক্।
Deleteএই তো! বামুনে বামুনের কাছা খুলে দিয়েছে। রিভিউ টা নিয়ে কোনও কথা হবে না, স্যার! জাস্ট যাআআআ-তাআআআআআ দিয়েছেন!!!
ReplyDeleteএই রে, দ্বিতীয় বামুন আবার কে?
Deleteপরিচালকের কথা হচ্ছে বোধ হয়। উনিও বাঁড়ুজ্জ্যে না?
Deleteআহা, তাই তো। শরদিন্দুবাবুও বাঁড়ুজ্যে!
Deleteআপনি তো ভারী পাজি লোক,
ReplyDeleteকি সুন্দর সুস্থ ছিলাম,
হাসিয়ে হাসিয়ে অসুস্থ করে দিলেন?
জানেন না আজকের যুগে হাসা অপরাধ?
আপনার বিরুদ্ধে আমি মামলা করব এবং সুনিশ্চিত করব যেন আপনি ভবিষ্যতে এই দুঃসাহস করার কথা বার বার ভাবেন।
শুভ কামনা রইল।
আহা, আমার দোষ নয়। এ দোষ বেওমকেশের।
Deleteএই ক্যালানে ব্যোমকেশ কে উত্তাল ক্যালাব |
ReplyDeleteব্যোমকেশ নয়। বেওমকেশ।
Deleteহ্যাঁ, বেমালুম ওমলেট কেড়ে নিয়ে কেশ উৎপাটন করব । :/
Deleteটু বি ফেয়র টু সুশান্ত সিং রাজপুত, বেমানান লাগেনি। বাজে হচ্ছে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ, স্বস্তিকা, অজিত।
DeleteKi likhechish re!! lakh lakh selaam. Saradindu Bhogoban toke onek ashirbaad korchen :D
ReplyDeleteআহা, কী বললি!
DeleteAamar pora ekhono porjontyo sob theke bhalo review "Detective" Byomkesh "Bakshy" r :)
ReplyDeleteসবই বেওমকেশের কামাল রে।
Deleteজয় বাবা ব্যোমকেশ
DeleteTumi just erokom review i lekho, mairi. :D :D :D Nongra!
ReplyDeleteতথাস্তু।
Deletetomar lekha pore onekdin mane onekdin pore sei jinista holo!! durshorsho! Abhida is back!
ReplyDeleteইয়েস্! হি ইজ্!
Deleteপারলে তোমার জন্য একটা সোনার মুকুট জোগাড় করতাম। অসাধারণ লেখা। প্রথম পাঠের পর ব্যোমকেশসমগ্র ভিড় করে এসে দাঁড়াল সামনে। হাসতে হাসতেই দ্বিতীয়বার পড়তে শুরু করলাম। এবার বমি পাচ্ছে। এত হাসলে বমি পাবে না?
ReplyDeleteআহা, স্বর্ণমুকুট নাহয় দিবাকরবাবুর জন্যই বরাদ্দ থাকুক।
Deleteপেনটা অক্ষয় হোক।
ReplyDeleteকীবোর্ড।
Deletechayachobir porisomaptir por ekta sthayi joyjoykar roilo..just, plain champi lekha..aboho sangeet ta o ektu bishleshon korte parte..1943 er abohe heavy metal _/\_
ReplyDeleteআজিট ব্যান্ডোর সুরজ্ঞান নিতান্তই সীমিত, তাই...
DeleteNah, uronto byomkesh er duronto cchayacchobi khana dekhtei hobe ebaar.With this review as a side reference. :)
ReplyDeleteএক্কেবারে। তবে নিজের রিস্কে কিন্তু।
DeleteAbhishek.. NO doubt tumi khub bhalo lekho..but the 148 minutes I was in the hall watching this movie .. I was NOT bored for a second or two.. I loved your piece.. but I would have loved more if you have ended like "the director did a great job, n I salute".. It takes a lot of balls to construct a movie like this.. and it is critically and commercilly a big success and I belong to the mass.
ReplyDeleteBy the way.. I dont want to frustrate your fans..but the 'mannanttar' (famine) was NOT so visible in 1943..
আহা, আমার ভাল লাগেনি, কী করব? ব্যক্তিগত মতামত তো আলাদা হতেই পারে! আমিও মাস্, আমিও ক্রিটিক, কিন্তু শরদিন্দু হলেন শরদিন্দু, কী করব?
Deleteআর মন্বন্তরের কথাই যদি বলেন, ইয়ে, একটু গবেষণা করা যাক্। ১৯৪০এর শীতেই দুর্ভিক্ষ হয় বাংলায়। কিন্তু অত বড় মাপের না হলেও কিছুটা প্রভাব পড়েছিল বৈকি! প্রথম ধাক্কাটা আসে ১৯৪১এ। ১৯৩০এর দশকে বাংলা ধান রপ্তানি করত। এই সময় বাধ্য হয়ে বর্মা থেকে আমদানি শুরু করে।
১৯৪২এ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হয়, যার ফলে বাংলায় বন্যা, মহামারী দুটোই দেখা দেয়। এর সঙ্গে আসে Helminthosporium oryzae, যার ফলে প্রায় ৭৫% ধান নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে চালের দাম হয় আকাশছোঁয়া।
সূত্র (বেশিরভাগ) ১৯৭১এ প্রকাশিত Famine Inquiry Commission 1945
পুনশ্চঃ Bengal famine 1943 দিয়ে গূগ্ল্ ইমেজেস সার্চ করুন। আর হ্যাঁ, কিছু মনে করবেন না।
Eto bhaalo legechhe, ei niye naahoke teish baar porey fellam. Baba-keo poralaam jodi-o tini satire khub ekta appreciate korte chan naa plus tnaar Detective Byomkesh Bakshy! dekhbaar sombhabona awtishoy kkheeno. Kaaron ekta-i, baba aamar theke-o beshi Shorodindu-bhokto. Porey bollen, umdaa hoyechhe!
ReplyDeleteশ্রীদেবী (এটা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না), ওনাকে আমার শ্রদ্ধা আর ধন্যবাদ জানাবেন অবশ্যই!
DeleteThank you !
ReplyDeleteইয়ে, মানে, কেন?
Deleteওই উড়ন্ত ধুতি শোভিত ঝুলন্ত ব্যোমকেশের পোস্টার দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। আপনার লেখা পড়ে নিশ্চিত হলাম।
ReplyDeleteযাক্, জীবনে অন্ততঃ একটা কাজের কাজ করলাম!
Deleteঘ্যামা ও একঘর...আপনার রসবোধ ও কীবোর্ডের দীর্ঘায়ু কামনা করলুম
ReplyDeleteআমিও আপনার অমিত বিক্রম কামনা করলুম।
Deleteবেওমকেশ এর রিভিউ টা বেওয়াপোক হইযাছে ... আপনাকে কুর্নিশ জানাই.. দি-বেকার ব্যান্ডো বোধকরি শরদিন্দু বাবুর ব্যোমকেশ সমগ্র পড়িবার সময় চা আলুভাজা সহযোগে জলখাবার সারিতেছিলেন ... কিম্বা অজিত এর বাবার তৈয়ার করা হিরোইন মিশ্রিত তাম্বুল চর্বন করিতেছিলেন ..তাই যেমন একখান ফিলিম নামাইতে সক্ষম হইয়াছেন ... আবার শুনিতেছি বাকশি এর নাকি পার্ট ২ বাহির হইবে ... এইবার এ হয়ত সত্যবতীর বটি হাতে আইটেম ডান্স দেখিতে পাইব...সেই আশায় দিন গুনিতেছি ...
ReplyDeleteসাতেয়াভাতি।
Deletekoplabhati o hote pare...kimba cheena jharbati :)
Deleteএইটা জবরদস্ত্ বলেছেন।
Deleteমোহায়, সিনেমা-টা কেমন, জানিনে; তবে, আপনার রিভিউ-খানা ফাস্টো-কেলাস!
ReplyDeleteবলছেন?
Deleteআপনি বড্ড ভাল লেখেন মশাই। এই ছবিটা, বিশ্বাস করুন, এখনও ভয়ের চোটে দেখে উঠতে পারি নি। আর আপনার লেখা পড়ে তো রীতিমত কাঁপছি।
ReplyDeleteনা না, দেখে ফেলুন ঝট্পট্!
Deleteএ ছবিটার একমাত্র ভালো দিক, এরকম একটা লেখা পাওয়া গেলো। তুখোড় হয়েছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ!
DeleteLekha ta bhalo. Aloo bhaja-cha nie banerjee babur motamot:-
ReplyDeletehttps://www.youtube.com/watch?v=QIDJeCfDdTw
অহো, কী শুনিলাম! কালো ভ্রমর ও শাকাল!
Deleteআমার বেশ লেগেছে।
ReplyDeleteআমি তো বোদ্ধা নই তাই বইয়ের পাতার ব্যোমকেশ যথাযথ ভাবে পর্দায় র্প্রতিবিম্বিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার বা বুৎপত্তি কোনোটাই আমার নেই।
সব মিলিয়ে চমৎকার হয়েছে।
আমি তো সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম - শরদিন্দু রচনা সমগ্রের অলঙ্করিত সংস্করনের বিচার বা গঠনমূলক সমালোচনা করতে নয়।
আরে, ভাল লাগাটাই তো স্বাভাবিক! দেশজুড়ে এত হৈচৈ!
Deleteবোদ্ধা তো আমিও নই (আহা, যদি হতাম!)। তবে কিনা, ঐ, শরদিন্দু তো...
আপনার বক্তব্যর মর্মার্থ আমি বোধহয় বুঝতে পেরেছি, কিন্তু কোথায় যেন অনেকদিন আগে পড়েছিলাম:
Delete'কিন্তু যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে। অর্থাৎ যাহাকিছু ঘটিতেছে, তাহার অবিকল নকল রাখিবার জন্য সে তুলি হাতে বসিয়া নাই। সে আপনার অভিরুচি-অনুসারে কত কী বাদ দেয়, কত কী রাখে। কত বড়োকে ছোটো করে, ছোটোকে বড়ো করিয়া তোলে। সে আগের জিনিসকে পাছে ও পাছের জিনিসকে আগে সাজাইতে কিছুমাত্র দ্বিধা করে না। বস্তুত তাহার কাজই ছবি আঁকা, ইতিহাস লেখা নয়।'
কিছু মনে করবেন না।
অধমের বাচালতা আর দুর্বিনীত স্পর্ধা নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
আপনার ইংরিজি আর বাংলা ভাষার দখল অসামান্য, আপনার লেখা পড়তে ভাল লাগে, অনেক সময় আপনার লেখা আমায় ভাবায়ও, মানে, আমি যতটুকু ভাবতে পারি ততটুকু আরকি।
তবে মাঝেমধ্যে শ্লেষ আর আত্মশ্লাঘার প্রাবল্য মূল বক্তব্যকে বোধহয় স্তিমিত করে দেয়।
অবশ্যই এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
যদি সীমা উল্লঙ্ঘন করে থাকি আরও একবার মার্জনা করে দেবেন।
আহা, বড় খাঁটি কথা বললেন। বেনোসাহেব মারা যাওয়ার খবর পেয়ে থেকে মনটা ভারি হয়ে গেছিল। এটুকুর দরকার ছিল।
Deleteসিনেমাটা খারাপ নয়, জানেন তো। এর থেকে অনেক খারাপ সিনেমা দেখেছি। দিবাকরবাবু চমৎকার পরিচলক, তাই হয়ত প্রত্যাশা বেশি ছিল। কিন্তু সমস্যা হল, উনি না ধরতে পেরেছেন পঞ্চাশের মন্বন্তর, আর না ধরতে পেরেছেন ব্যোমকেশকে। উনি গল্পগুলো পড়েছেন, কিন্তু ব্যোমকেশকে বোঝেননি।
আমার সমস্যা হল, শরদিন্দুবাবুর ব্যাপারে আমি ভয়ানক স্পর্শকাতর। উনি না থাকলে হয়ত লেখা শুরুই করতাম না কোনওদিন। বড্ড গায়ে লেগে গেছে। বাড়াবাড়ি হয়ে থাকলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন।
আপনার সঙ্গে কথা বলে বড় আনন্দ পেলাম।
ReplyDeleteআমার আবার ঐ একটা ব্যারাম আছে:
"দিদি বলবেন পাদুটো কী কুচ্ছিৎ,
একগঙ্গা জল দিয়ে তাই ধুচ্ছি।”
যা মনে আসে তা বলেই ফেলি।
নিশ্চয় ভবিষ্যতে আবার কথা হবে:
অন্য কোথা, অন্য কোনখানে ....
নিশ্চয়ই হবে, খুব শীগ্গিরই।
Deleteamar abar movie ta bhalo legechhe :P seta movie ta bhalo bole na sushant er jnye seta bolte parbo na..oboshyo ami apnader tulonai sishu...gotokal i jonmechhi :D
ReplyDeleteমোহানা, সুশান্তকে আমারও মন্দ লাগেনি। আপনি শিশু, মানছি, কিন্তু একদিন তো বড় হবেন!
Deleteদিবাকর বাবু ওই বিশ্বযুদ্ধ আর জাপানি অ্যাঙ্গেল টা ঢুকিয়ে একটু গড়বড় করে ফেলেছেন, নাহলে কিন্তু ভলোই গপ্পটা ফেঁদেছিলেন। আমি তো মাঝখানে ডাক্তার গুহা কে প্রায় ছদ্মবেশী নেতাজি ভেবে ফেলেছিলাম !
ReplyDeleteআর ব্যোমকেশ যে Tarantino মার্কা ট্রিটমেন্ট দিয়েও বানানো যায় সেটা দেখানোর জন্যে কিন্তু ভদ্রলোকের বাহবা প্রাপ্য .. শরদিন্দু বাবু বেঁচে থাকলে কি বলতেন জানি না !
ব্যোমকেশ নয়। বেওমকেশ।
DeleteOvshake, Vishon ichhey chhilo banglay likhi, kintu amar avro flop service.
ReplyDeleteAsol kauthay ashi, ami tomar ei lekhta porey cinemata dekhtey jachhi aar jodi report pao je ekta serious detective boi dekhtey giye ek janiko mohila haanstey haanstey hall e goriyechey, taholey ekmattor dayi tumi. Kintu keno jani money hochhey bioscoper tulonaye, lekhata nitantoyi aushadharon hoyiachhey.
কীর'ম লাগল, শেষে?
DeleteHahahahaha.Sadhu Sadhu.
ReplyDeleteshotti...keno korlo erokom???
জানি না। বাঁড়ুজ্যেবাবু জানেন।
Deleteআমার LSD খুব ভাল লেগেছিল কিন্তু সাংহাই ভাল লাগে নি ।Bombay talkies এর short টাও ভাল লেগেছিল..but this took the cake!!
Deleteএটার আগে অবধি আমার সবকটা সিনেমা ভাল লেগেছে।
DeleteEK KATHAI BOLTE PARI "Kono Katha Hobe Na, AWESOME SHALA"... HA HA HA... SALUTE BOSS SALUTE... :)
ReplyDeleteবহুদিন আগে এক মহামানবের অবসরগ্রহণ প্রসঙ্গে আরেক মহাপুরুষ লিখেছিলেন -
ReplyDeleteশচীনের আগে ব্যাট করিতে আসা বড় বালাই। তাহাদের রানও করিতে হইবে, আবার তাড়াতাড়ি আউট হইয়া শচীনকে সুযোগও দিতে হইবে। এই দুইই করিতে পারে, এমন লোক তো বড় একটা দেখি না!
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আবারও ঘটল। উনিশশো তেতাল্লিশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে লিখেও শরদিন্দু কখনোই ব্যোমকেশ কাহিনীতে পঞ্চাশের মন্বন্তরের উল্লেখ করেননি। অন্তত প্রাঞ্জলভাবে যে করেননি, সে ব্যাপারে আমি শিওর। গঙ্গায় ভাসমান মড়া দেখালে দিবাকরবাবু শিওর অন্য কোনও সমালোচকের হাতে প্যাঁদানি খেতেন।
আসল ব্যাপারটা কি জানেন, অভিষেকবাবু? দিবাকরবাবু ব্যোমকেশকে পুরোটাই বুঝেছেন। আপনার পুরো সমালোচনা যে প্রিমাইজের ওপর ভিত্তি করে আছে, তা হল, যে আপনি ব্যোমকেশকে যা বুঝেছেন, সেটাই আসল বোঝা। এরকম মিসকনসেপশন কেন হল আপনার, অভিষেকবাবু? যে আপনার ইন্টারপ্রিটেশনের বাইরে আর কোনও ইন্টারপ্রিটেশন থাকতে পারে না!
স্বামীস্ত্রী, পিতাপুত্র, মা-মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে, মধ্যবিত্তের আশাভরসা নিয়ে, বাঙালিয়ানা নিয়ে প্রচুর বাংলা ছবি আমরা দেখেছি। আর চাই না। এবার দেখব চাঁদের পাহাড়, বেওমকেশ, কিরীটী, কাকাবাবু, গোগোল। আপনার পছন্দ না হলে দেখবেন না, কিন্তু বাগড়া দেবেন না প্লিজ।
একটা অনুরোধ করবো? সুচিত্রা সেনকে নিয়ে লেখা আপনার প্রবন্ধে জনৈক ব্যাক্তি রেগেমেগে কমেন্ট করায় আপনি আপনার আগামী প্রবন্ধ সেই কমেন্টের ওপরেই লেখেন। ঠিক সেরকম, নিরঞ্জন চ্যাটার্জি মশায়ের কমেন্টটা নিয়ে কিছু লিখবেন কি? আপনার ব্লগে এর চেয়ে ভাল, ব্যালান্সড এবং ম্যাচিওরড কমেন্ট আমার চোখে পড়েনি।
>> উনিশশো তেতাল্লিশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে লিখেও শরদিন্দু কখনোই ব্যোমকেশ কাহিনীতে পঞ্চাশের মন্বন্তরের উল্লেখ করেননি।
Deleteতিরিশের দশকের শুরুর ঘটনা নিয়ে "সত্যান্বেষী" লেখা। এক্কেবারে টাটকা, গল্পের শুরুতেই। ঝাঁ করে নামিয়ে পড়ে নিন। শরদিন্দু পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে আদৌ কিছু লেখেন নি। কিশোর সাহিত্যে বারদুয়েক মন্বন্তরের উল্লেখ করেছিলেন বটে, কিন্তু "প্রায় একশো বছর আগের কথা" জাতীয় বাক্য ব্যবহার করে।
>> গঙ্গায় ভাসমান মড়া দেখালে দিবাকরবাবু শিওর অন্য কোনও সমালোচকের হাতে প্যাঁদানি খেতেন।
তা ঠিক। গঙ্গায় ভাসমান স্বস্তিকা দেখলে সেটা হওয়ার চান্স কম।
>> আপনার পুরো সমালোচনা যে প্রিমাইজের ওপর ভিত্তি করে আছে, তা হল, যে আপনি ব্যোমকেশকে যা বুঝেছেন, সেটাই আসল বোঝা। এরকম মিসকনসেপশন কেন হল আপনার, অভিষেকবাবু? যে আপনার ইন্টারপ্রিটেশনের বাইরে আর কোনও ইন্টারপ্রিটেশন থাকতে পারে না!
আরে না না, আমি সাদামাটা মানুষ। আমার ইন্টারপ্রিটেশনের কোনও মূল্য নেই। তবে আমি যেটুকু বুঝেছি, দিবাকরবাবু তাও বোঝেননি। উনি সর্বৈব ব্যোমকেশ-নিরক্ষর।
>> এবার দেখব চাঁদের পাহাড়, বেওমকেশ, কিরীটী, কাকাবাবু, গোগোল। আপনার পছন্দ না হলে দেখবেন না, কিন্তু বাগড়া দেবেন না প্লিজ।
কী মুশকিল, আমার লেখা আপনার পছন্দ নয়, আপনি পড়ছেন কেন? আর আমি বাগড়া দেওয়ার কে? চোখের সামনে ব্যোমকেশকে খুন হয়ে সুপারব্যোমকেশকে জন্মাতে দেখলাম, অসুস্থ বোধ করলাম, তাই লিখলাম। স্বত্ব কিনে বসে আছেন, এবার টকাটক সিনেমা বানাবেন; আমার সাধ্য থাকলে আটকাতাম, কিন্তু নেই। অসহায় লাগে, কী করব বলুন?
তবে হ্যাঁ, শরদিন্দু এতটাই বড় লেখক, যে তাঁর মাথা দেশের সামনে নুইয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দিবাকর-টিবাকরের নেই।
tomar reply ta ke ক dilam !
Deleteতার মানে কী?
Deleteuhhh, dhoro distinction!
Deleteওকে।
Deleteবিয়োমকেস ব্যাক্সি দেখিনি, দেখতে চাইও না। তবে এই লেখাটা ফাটাফাটি লাগলো। :)
ReplyDeleteআর হ্যাঁ, তোমার পোষ্টের কমেন্ট-পাল্টা কমেন্টের ব্যাপারটাও আমার দিব্যি লাগে, মাঝেমাঝে শুধু ওগুলো পড়তেই চলে আসি। :)
ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, পাল্টা-পোস্ট দেওয়াটা আমার কর্তব্য বৈকি!
Deleteanobodyo review, ekdom i ekmot, jader niret BAKSHY ke bhalo legeche, tader BYOMKESH BAKSHI pore dekhte ebong take niye kora aager kichu kaaj boroporday ( banglay ) o chotoporday (hinidi) dekhte anurodh korbo, tarpor na hoy, KIRITI, GOGOL, CHANDER PAHAR (DEB), ja khusi dekhte paren, tobe time pele ektu pore niye tarpor dekhun please
ReplyDeleteABHISHEK da, aapnar ethics anujayi, ekta palta post expect kori, aapni satyi bhalo lekhen
অজস্র ধন্যবাদ, দেবোপমবাবু। আপনি অন্ততঃ নিষ্ফলের হাহাকার বুঝেছেন।
DeleteThanks for allowing me to comment, and I am only Debopam,
Deleteaapnar theke aami choto, dada,
Babu tabu noi
TRINITY ( trimurti niye aapnar lekhata pora hole comment debo )
তথাস্তু।
Delete