গুরুচণ্ডা৯তে ক্রস-পোস্টেড!
***
এটা গতকালই লিখব ভেবেছিলাম, তালেগোলে হয়ে উঠল না। মোদ্দা কথা হল, শচীন রিটায়ার করছেন, শেষের আগের টেস্টটা খোদ ইডেনে। ওঁরা - মিডিয়ার লোকজন - নানান্ কথা লিখবেন, প্রাক্তন ধারাভাষ্যকাররা বলবেন, সাহিত্যিকরা বলবেন, আর - আমরাও কিছু বলব।
***
এটা গতকালই লিখব ভেবেছিলাম, তালেগোলে হয়ে উঠল না। মোদ্দা কথা হল, শচীন রিটায়ার করছেন, শেষের আগের টেস্টটা খোদ ইডেনে। ওঁরা - মিডিয়ার লোকজন - নানান্ কথা লিখবেন, প্রাক্তন ধারাভাষ্যকাররা বলবেন, সাহিত্যিকরা বলবেন, আর - আমরাও কিছু বলব।
এর কয়েকটা ঘটনা আজ ঘটে গেছে। কয়েকটা কাল ঘটবে, কয়েকটা
হয়ত ঘটবেই না। বেশিটাই আনুমানিক। তবে ঐ, লিখতে তো ক্ষতি নেই!
***
বিষয়: ধোনি টস করতে গেলেন।
আনন্দবাজার: শেষ সিরিজ। ১৯৮ টেস্টের অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও
বিশ্বক্রিকেটের সবথেকে বর্ষীয়ান সদস্যের বুকও আজ ধুকপুক করছে। বুক চিরে হঠাৎই
বেরিয়ে এল দীর্ঘশ্বাস। আজ যদি বিনোদটা পাশে থাকত...
আজকাল: প্যাভিলিয়নে বসে শচীনের নিশ্চয়ই আজ সৌরভের কথা
মনে পড়ছে। এই টসটা তো ওরই করতে যাওয়ার কথা ছিল।
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, টস হচ্ছে!
বঙ্কিমচন্দ্র: হে রাজন্! মুদ্রাস্ফালন একপ্রকার ক্রিয়া, যা
দ্বারা কাহারা কাহাদিগের উদ্দেশ্যে চর্মগোলক প্রেরণ করিবে তাহা নির্ধারিত হইয়া
থাকে।
আমরা: শচীন জানেন, টস জিতলে ব্যাটিং অবধারিত, তাই কমেন্টেটর
আগে যার কাছে মাইক নিয়ে গেল তার ওপর নির্ভর করে প্যাডফ্যাড পরবেন। আর হ্যাঁ,
হেলমেটটাও।
***
বিষয়: ভারত ফিল্ডিং করতে নামল।
আনন্দবাজার: নামার আগে একবার আকাশের দিকে তাকালেন সচিন। মনে
পড়ল গাওস্করের মুখ, সেই প্যাডগুলো। চব্বিশ বছরের কেরিয়র নিমেষের মধ্যে চোখের সামনে
সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মত ভেসে উঠল। কমেন্ট্র বক্সের দিকে তাকিয়ে একবার তাকালেন
মুখ তুলে। ঐ তো সৌরভ, রাহুল – লক্ষ্মণটা কোথায় গেল? নিশ্চয়ই পেছনে বসে আছে? এই
মাঠেই তো, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেই, লক্ষ্মণ আর আমি, মোটে এগারো বছর আগে, ...
আজকাল: চির-উপেক্ষিত বাংলার শামিকে পাশে নিয়ে শচীন ইডেনে
নামলেন।
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, ভারত নেমে পড়েছে!
শরৎচন্দ্র: দেবদা, তুমি যাবে না মাঠে? ওদের চ্যালেঞ্জ নিতে
বারণ করবে না?
আমরা: আগে ব্যাট পেলে ভাল হত, কিন্তু যাক্গে। অশ্বিন আর
ওঝা ভরসা।
***
বিষয়: শামির মারাত্মক তৃতীয় স্পেল।
আনন্দবাজার: উইকেট পড়ছে না। স্যামুয়েলস-ব্রাভোর খেলায় হঠাৎ
ভিভ-লয়েডের স্বাচ্ছন্দ্য। স্পিনাররা নাজেহাল, ম্যাচ নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রথম
স্লিপ থেকে কোহ্লি ধোনির সঙ্গে গভীর আলোচনায় মগ্ন। এমন সময় সচিন এসে যোগ দিলেন,
বললেন, “তুমি ভুলে যাচ্ছ মাহি, তোমার হাতে এমন একজন পেসার আছে, যে এই পিচ নিজের হাতের
তালুর মত চেনে।”
আজকাল: ছাই দিয়ে আগুন চাপা যায় না, ধোনিবাবু। বাঙালি আর কত
অবিচারের শিকার হবে?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, উইকেট পড়ছে!
অবনীন্দ্রনাথ: অম্নি সারা ইডেনে যত লোক, যত লোক ছিল সব একসঙ্গে বলে উঠল
“ম-হ-ম্ম-দ শা-মি!”
আমরা: যাক্, অনেকদিন পর একটা ভাল পেসার এল।
***
বিষয়: চন্দরপলের ব্যাটিং।
আনন্দবাজার: ওঝার অ্যাপিল নস্যাৎ করে দিলেন আম্পায়ার। গ্যালারিতে
চিৎকার উঠল। ভেসে এল টুকরো মন্তব্য – “আমরা তোমার আম্পায়ারিং দেখতে আসিনি, সচিনের
ব্যাটিং দেখতে এসেছি।” বাংলা বোঝেন না, কিন্তু নিজের নাম শুনে ক্রিকেটের ঈশ্বরের
মুখে দেখা দিল এক চিলতে হাসি। জায়েন্ট স্ক্রীনে তা দেখে ইডেন হাততালিতে ফেটে পড়ল।
আজকাল: এই কুৎসিত ব্যাটিং ক্রিকেটের কলঙ্ক। মনে পড়ে
সৌরভের রাজকীয় কভার ড্রাইভ?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, চন্দরপল ব্যাট করছে!
লীলা মজুমদার: শচীন এসে বলল, তুমি এত রান করো, এইর’ম বাজে
স্টান্স কেন? চন্দরপল্ ফিক্ করে হেসে বলল, “কী করব, ওব্বেস!” এই বলে টুক্ করে
একটা কভার ড্রাইভ করে চার মারল। এই অনাছিষ্টি কাণ্ড দেখে সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে
রইল।
আমরা: এই লোকটা কোনওদিন কদর পেল না।
***
বিষয়: ইডেনের দর্শক।
আনন্দবাজার: যখনই তিনি আউটফিল্ডে যাচ্ছেন, ইডেন উঠে দাঁড়িয়ে
সম্মান জানাচ্ছে। এক বল-বয়কে অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে তাঁর বুক ধক্ করে উঠল - একদম
অর্জুনের মত দেখতে না? সই করার সময় হাতটা একটু হলেও কেঁপে গেল কী?
আজকাল: তাঁর ছোটবাবুর শেষ টেস্ট, তিনি কি পারেন না এসে
থাকতে? এই মাঠেই তো আজ থাকার কথা ছিল তাঁর।
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, ইডেন হাততালি দিচ্ছে!
পরশুরাম: এক হতভম্ব দর্শক আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এক্সকিউজ
মি প্রভু, আপনি কি ভিজেয় মার্চেন্টকে দেখেছেন?”
আমরা: কী রে, এখানে শচীনের লাস্ট ম্যাচ, আজও এত খালি
সীট?
***
বিষয়: শচীনের উইকেটপ্রাপ্তি।
আনন্দবাজার: বল হাতে নিয়ে হঠাৎ মনে পড়ল বান্দ্রার সাহিত্য
সহবাস কলোনীর সেই দিনগুলোর কথা। তখন তো তিনি জোরে বল করতেন। আজ, কেরিয়রের সায়াহ্নে
এসে একান্ন সেঞ্চুরির মালিক পাঁচ ফুট চারকে লেগস্পিন করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্য!
আজকাল: তাঁর ছোটবাবুর শেষ টেস্ট, তিনি কি পারেন না এসে
থাকতে? আজ তো মাঠেই থাকার কথা ছিল তাঁর।
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, ইডেন হাততালি দিচ্ছে!
উপেন্দ্রকিশোর: তোমরা বল করতে পারো? আমি একজন লোককে চিনতাম, সে
সবরকমের বল করতে পারত। যেই সে ইডেনে একটা উইকেট নিল, অমনি সবার সে কি হাততালি!
আমরা: আর চারটে হলেই পঞ্চাশটা। হবে?
***
বিষয়: ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপ।
আনন্দবাজার: কমেন্ট্রি বক্সে বসে শাস্ত্রী লক্ষ্মণের কানে
কানে বললেন, “শচীন এলে স্লটটা কিন্তু আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।” মুহূর্তের জন্য থতমত
খেয়ে গেলেন
৮,৭৮১ টেস্ট রানের মালিক। এই মাঠে তো
তিনিই রাজত্ব করে এসেছেন বরাবর – আজ অন্যের হাতে মাইক ছেড়ে দিতে হবে?
আজকাল: সৌরভ মাঠে থাকলে আজ উইকেট ছুঁড়ে দিতেন শচীনের
স্বার্থে। কিন্তু এই তরুণ তুর্কীর দল – এরা শুধু রান বোঝে। নতুন প্রজন্মকে এই শেখালেন
আপনি, ধোনিবাবু?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, এরা এখনও ব্যাট করছে! সেই গাংচিলটা উড়েই চলেছে, উড়েই চলেছে,
আরও, আরও...
রবীন্দ্রনাথ: শচীনের আগে ব্যাট করিতে আসা বড় বালাই। তাহাদের
রানও করিতে হইবে, আবার তাড়াতাড়ি আউট হইয়া শচীনকে সুযোগও দিতে হইবে। এই দুইই করিতে
পারে, এমন লোক তো বড় একটা দেখি না!
আমরা: টিকে যাক্; শচীন তো রইলই। হয়ে গেলে তো হয়েই গেল।
***
বিষয়: শচীন অবশেষে নামলেন।
আনন্দবাজার: একবার ঘুরে তাকালেন ড্রেসিংরুমের দিকে। আবার তিনি
একা। আজ আর তিনি শ্রীকান্তের দলের ষোল বছরের বালক নন – তিনি আজ চল্লিশের প্রবীণ। বুক
ফেটে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরোল ভারতীয় ক্রিকেটের সিনিয়র সিটিজেনের। এই শহর মনে রাখবে
তো তাঁকে?
আজকাল: আজ সৌরভ নেই। অচেনা তরুণবাহিনীর করতালির মধ্যে
শচীন নামলেন ব্যাট করতে ইডেনে।
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন নেমে পড়েছে!
সুকুমার রায়: আবার
সে এসেছে ফিরিয়া।
আমরা: পঞ্চাশ করে দে বস্, তাহলেই হবে।
***
বিষয়: শচীন ব্যর্থ হলেন।
আনন্দবাজার: যাবতীয় সংযমের বাঁধ ভেঙে রাহুল দৌড়ে যাচ্ছিলেন
সচিনকে সামলাতে; সৌরভ-লক্ষ্মণেরা মনে করালেন, তাঁদের মত রাহুলেরও দিন শেষ,
ড্রেসিংরুমে ঢোকার রাস্তা চিরতরে বন্ধ। একমাত্র সানিই অবিচল। তিনি তো জানেন। উঠে
এসে রাহুলের কাঁধে রাখলেন সহানুভূতির হাত।
আজকাল: শচীন আউট হতেই নেমে পড়লেন কোহ্লি। ভাবা যায়,
শচীনের শেষ সিরিজ, ইডেনে খেলা, আর পাঁচে সৌরভ নেই? চ্যাপেলকে কোনওদিন ক্ষমা করবে
ইডেন?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন আউট!
পূর্ণেন্দু পত্রী: ভেবেছ পালাবে গর্তে? হৃৎপিণ্ডের ভিতরে থাকে যে ঝর্ণা, দিতে হবে চান
করতে।
আমরা: ঠিক আছে, সেকেন্ড ইনিংস আছে তো!
***
বিষয়: শচীন ছড়ালেন না, মোটামুটি গোটাচল্লিশ রান করে আউট হয়ে গেলেন।
আনন্দবাজার: কাম্বলি-আমরেরা আসতে পারেননি, কিন্তু সচিন বয়ে
এনেছেন আচরেকর স্যারের কোচিংএ অনেক অনেকদিন কাটানোর স্মৃতি। আজ যদি আচরেকর-স্যার মাঠে
থাকতেন! তাও সচিন ব্যাট তুলে জনতার করতালি গ্রহণ করলেন, মুখ তুলে একবার তাকালেন
প্যাভিলিয়নের দিকে। “এই তাকানোটা আমি ভুলব না,” শিবরামকৃষ্ণণ চোখ মুছে হেডেনকে
বললেন।
আজকাল: সম্মান জানাতে শিখলেন না, ধোনিবাবু? বেরিয়ে এসে
অভ্যর্থনা জানালেন না শচীনকে? সৌরভ-জমানায় ভাবা যেত এসব?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন আউট! কত করল?
বিভূতিভূষণ: শচীন
তেন্ডুলকর আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইডেনে সেকালের অবসান হইয়া গেল।
আমরা: হাসি...
***
বিষয়: শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শচীন সেঞ্চুরিই করে ছাড়লেন।
আনন্দবাজার: সচিন জানতেও পারলেন না, পুরোনো কলোনির বন্ধু,
শিবাজি পার্কের মালি – সবাই আজ মানত করেছিলেন শতরানের জন্য। আকাশের তাকিয়ে ব্যাট
তোলার পর সচিন ভাবলেন, ত্রিনিদাদে ঘুমিয়ে থাকা প্রিয় বন্ধু লারা জানতেও পারলেন না!
যাক্, গিয়ে একটা এস-এম-এস ছেড়ে দিলেই হবে। কিন্তু ক্যালিস? ক্যালিস পারবে এতগুলো
সেঞ্চুরি করতে?
আজকাল: আজকের দিনেও একবার সৌরভের কথা মনে পড়ছে না
শচীনের? মনে পড়ছে না, তাঁর স্বর্ণযুগ এসেছিল সৌরভের হাত ধরে? নিছক তথ্যের
কচকচানিতে ধোনি-ফ্লেচাররা অনেক কথা বলতে পারেন, কিন্তু সৌরভ ছাড়া শচীন শচীন হতেন?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন সেঞ্চুরি করেছে!
শরদিন্দু: মা, শীগ্গিরি
এসো, শচীন হেলমেট খুলে তাতে তিনটে-পাঁচটা চুমু খাচ্ছে!
আমরা: কান্না...
***
বিষয়: খেলা শেষ। ভারত জিতল। শচীন শেষবারের মত বেরোলেন
ইডেনের দর্শকের সামনে।
আনন্দবাজার: মাইক হাতে মাঠের মাঝখানে যাওয়ার আগে শাস্ত্রীর
সঙ্গে দেখা হয়ে গেল রোহিত শর্মার। রোহিত জিজ্ঞেস করলেন, “আমি পারব?” কান্না চেপে
রেখে শাস্ত্রী সানির দিয়ে আঙুল দেখিয়ে ঢুকে গেলেন মাঠে। সচিনের বিদায়মুহূর্ত বলে
কথা – সৌরভ-রাহুল-লক্ষ্মণ কারুরই চোখের জল বাঁধ মানছে না।
আজকাল: সেঞ্চুরি করলেন শচীন, ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব নিয়ে
গেলেন ধোনি। ফ্লেচার-আমলে আর কী আশা করতে পারি আমরা?
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, ভারত জিতে গেছে!
অনিল ভৌমিক: ফ্রান্সিস
কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ খেয়াল হল কে যেন ধাক্কা দিচ্ছে। হ্যারি। “ভারত
জিতে গেছে,” ওপাশ থেকে মারিয়া বলে উঠল।
আমরা: হাসি, নস্টালজিয়া, আরও নানারকম...
***
বিষয়: সৌরভের প্রতিক্রিয়া।
আনন্দবাজার: “জীবদ্দশাতেই তো সব দিয়ে যেতে হল, বন্ধু,”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলেন সৌরভ। আর কেউ শুনতে পেলেন না। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণরা তো
নিজেদের মধ্যে আলোচনাতেই মগ্ন। সানি-রবি নিচে। তিনি একা বসে রইলেন নিজের মাঠে।
আজকাল: শ্রীনিবাসনের চাপে পড়ে স্টার স্পোর্টস বাধ্য হল
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সৌরভের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিতে।
অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে
– উড়ছে, উড়ছে, একি, সৌরভ কই!
সত্যজিৎ: সৌরভের
হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধূলোর মত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, আর সেই ভগ্নস্তূপ থেকে একটা রক্ত
হিম করা অশরীরী কন্ঠস্বর বলে উঠল – “অবসরের পরের অবস্থা আমি জানি!”
আমরা: শচীনকে আজ বাড়িতে ডিনারে ডাকবে বোধহয়।
ReplyDeleteAnother hero of your lifetime goes packing and you helplessly grasp at the straws of memory,losing few,preserving others...but for the penultimate time
Sachin!!
Sachin!!!
Unfortunately, yes. We need to let go, no?
DeleteYou should write cricket articles in bengali.
ReplyDeleteThat is how it should be :D
Why so?
DeleteEkei ki bole, ostader maar shesh raate....? Jaa taa, just jaa taa. All over again :-)
ReplyDeleteThank you, thank you.
DeleteYou are welcome.
Delete... since I respond to every comment these days.
DeleteSo that it falls in a loop? :)
DeleteNope. Here is where the loop ends. Subsequent steps will be ignored.
DeleteYou write so good. I have to visit your blog atleast 5 times a week. Please dont write in chinese. I cant read it, and feel that I am missing something good. If you have to, then please translate for people like us.
ReplyDeleteThanks.
Thank you. It's certainly not English, and some things are really lost in translation. I'm really sorry.
Deleteদারুণ হয়েছে। উপেন্দ্রকিশোরের লেখার শেষে আরেকটু জোড়া যেত "সে যদি তোমরা দেখতে!"
ReplyDeleteএটা একদম হক্ কথা!
DeleteEta ekta chomotkar lekha!! Leela Majumdar ta jata legechhe!!
ReplyDeleteektu miss korechho Ravi Shashtri cliches! :D
Deleteআরে, না, বাংলা লিখতে চেয়েছিলাম যে! শাস্ত্রী ক্লিশে চাইলে এটা পড়্ - http://tinyurl.com/nvqvpgc
Deleteচমৎকার হয়েছে। ফর্ম্যাট-এর চিন্তাটাও অভিনব। ফারদীন খান-এর রিঅ্যাকশনও জানা গেলে কেমন হোতো, ভাবছি।
ReplyDeleteধন্যবাদ। ফরদীনের প্রতিক্রিয়া হত অনেকটা এইর'ম - http://tinyurl.com/m4rk2af
DeleteNag da, osadharon likhecho . . . .
ReplyDelete-Indrajit Jana.
সাধুবাদের জন্য ধন্যবাদ। তবে কিনা, ইয়ে, আমি নাগদা, বাগদা, ইত্যাদি নই। আমি নিতান্তই নিরীহ এক অভিষেকদা।
DeleteGood one :) ami akhon ota i bolchi: second inning ache to..
ReplyDeleteThank you. Hmm, picture abhi baaki hai. :)
Deletekhub bhalo lekha. Class apart.
ReplyDeleteThank you re. Coming from you it's a big thing.
Deleteeta ki hyata diye bolle?
DeleteEki! Na! Maneta ki?
DeleteApni moshai osadharon likhechen....haste haste pete khil......apnar mahabharat tao durdanto hoyechilo
ReplyDeleteধন্যবাদ। অজস্র ধন্যবাদ।
DeleteGoogle translation/transliteration sucks big time. It's worse than a dementors kiss. :( :(
ReplyDeleteI know. Ask Subhro, Mohua, or Gogol to read it out. You can also ask your colleagues - I think they might enjoy it, given your organisation. :)
DeleteReason 11122266: As to why one should curse oneself for not being a Bengali!! :D :D Also, one can only get the flavour if one is conversant (or familiar) with Bankim Chandra, Sarat Chandra, Rabi Thakur, Leela Majumdar, Bhibhuti Bhuson, Purnendu Potri...and the list is endless. *feeling unusually mean today*
Delete"Going through life without knowing Bengali itself is a bit unfair." - Diptakirti Chaudhuri.
Deletesee, cousins think alike!! (I hope Diptee never reads all these)
DeleteI hope you're aware that Diptee takes special pride in the fact that she is a Marathi Kshatriyani and is remotely related to Shivaji (possibly).
Deletemoner kalo akashe jeno hashi-r ekti bidyunmala chirik diye gelo abhishekbabu. apni dirgayu hon, apnar kolom mayurpuccho-r moton charpashke jholshe dik. apnar lekhoni debipokkher chondrima-r moton din din alokito houk,
ReplyDeleteঅত উত্তেজিত হবেন না। মৌক্তিকং ন গজে গজে।
Deletena na, gojgoj korchi na, shotyi bolchi boro bhalo legeche.
Deleteধন্যবাদ। এই আইডি-টা কি অ্যানাগ্রাম? অনেক ভেবেও বের করতে পারছি না। :(
Deleteanagram na, sondhi, bicched kore dekhun, apni to shondhi bicched paren shunechi.
Deleteনা না, আমিও প্রথমে তাইই ভেবেছিলাম, কিন্তু দুটো 'ইউ' কেন? ঊ তো নয়, উ।
Deleteekta u 'eu' uccharon hote pare ei bhoy... tachara uut ar bangla banan serokom janbe ki kore?
Deleteউটকে জানি সংস্কৃতে কী বলে? উষ্ট? না উট্র? ;)
Deleteএই রে, এবারে একটা মালিনীর দরকার। :D
Deleteঅবচিত বলিপুষ্পা বেদি সম্মার্গদক্ষা
Deleteনিয়মবিধি জলানাং বহির্ষাঞ্চোপনেত্রী
গিরিশমুপচ্চার প্রতাহং সা - সুকেশী।
মালিনী স্নান করে ফিরে এসেছে? :)
Deleteসেইজন্যই তো সুকেশী লিখলাম। :)
DeleteOshdharon boss. Specially urche urche eki sachin out koto korlo? Amader reaction tao akebare exact depict korechen. Ashakori dwitio aaar baki din guloro dharavashho pabo apnar theke.
ReplyDeleteধন্যবাদ। দেখি, কী করতে পারি। :)
DeleteI must thank Diptakirti along with you, because he shared the link to your post.
ReplyDeleteThis is awe-inspiring. Byapok. Much respect, sir, especially for mimicking the styles of so many writers.
Thank you, Sir, for bringing Eliot to my blog. Honoured by the compliments.
Delete“এক্সকিউজ মি প্রভু, আপনি কি ভিজেয় মার্চেন্টকে দেখেছেন?"... Ha ha ha ha ha!
ReplyDeleteমাই ঘড্!
DeleteActually, was going to say, Vijay Merchant should have been a more ancient name more like W.G. Grace .. even if he has never played in Eden Gardens. But yes, the idea was great
DeleteThank you. Thank you.
Deleteবেড়ে লিখেছেন কিন্তু, চালিয়ে যান। মাইরি, ইডেনে তেন্ডুলকরের শেষ ম্যাচ, আর কোনও বাঙালি ব্লগার কিছু লিখছিলেন না। আপনার লেখাটা একদম যেন কালের কপোলতলে একফোঁটা অশ্রুজল... ইয়ে, উপমাটা মানানসই হল কি? না হলেও ক্ষেতি নেই, লিখেছেন বেশ। আর মুখুজ্জেবাবুর প্যারডিতেও রবীন্দ্রনাথ সবাইকে মেরে বেরিয়ে গেলেন (সেকেন্ড প্রাইজ অজয় বসু, থার্ড প্রাইজ আজকাল... কনসোলেশন প্রাইজ বিভূতিভূষণ)।
ReplyDeleteআরে মশাই, লোকে পড়ে ভাল বলেছে এতেই আমি ধন্য, আপনি তো র্যাঙ্ক করে আমাকে অন্য স্তরে নিয়ে গেলেন!
Deleteএকটা খবরের কাগজ আমি পড়ি না, আর তাই বোধহয় দিনদিন পিছিয়ে পড়ছি। কিন্তু সচিন আর শচীনটা বেশ ভালো ম্যানেজ করেছেন কিন্তু।
Deleteআমিও বছরখানেক হল পড়া ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কত আর বদলাবে?
Deleteaajkal-er recurring take-tai best....anil 'francis' bhowmik :)
ReplyDeleteআরে, আমি খুব অবাক হলাম লোকে অনিলবাবুর লেখাকে পাত্তা দেয় না বলে।
Deleteকে দেয়না? আমার ত দারুণ লাগত just।
Deleteআহা, অনিল ভৌমিকের ছোট ছোট বাক্য!
Deleteফ্রান্সিস। দেখল। হ্যারি। দাঁড়িয়ে। আছে।
Awpurbo, awpurbo!! Office-e boshe porchhi ar hashchhi, ar lok-e unmaad bhebe pash katiye chole jachhe. Anil Bhowmik-ta jobbor, ekdom Venkatapathy Raju! But Leelupishi and Parashuram take the cake and the muffins.
ReplyDeleteআরে, ধন্যবাদ! এই তো, অনিল ভৌমিকের পাঠকেরা দলে দলে বেরিয়ে পড়েছে!
DeleteAnil Bhowmick'k amio kokhono porini....tini ki likhten ebong kobe likhten Sreyashidi and Abhishekda?
Deleteএকী! ফ্রান্সিস-মারিয়া-হ্যারি-শ্যাঙ্কো-বিস্কো!
DeleteNoooooo....bengali again? :(
ReplyDeleteSome things are really lost in translation. :(
Deleteবহুদিন বাদে এক বিশুদ্ধ ছ্যাঁচড়ার দেখা পেয়ে বড় আহ্লাদিত হলেম।
ReplyDeleteবহুদিন বাদে একটা দুর্দান্ত কমপ্লিমেন্ট পেয়ে বিহ্বল হয়ে পড়লাম।
Deleteগুরু, চরম হয়েছে, জাস্ট একঘর, কোনওকথা হবে না ...
ReplyDeleteআরে, জাস্ট ভেসে গেলাম তো!
Deleteতুমুল নোংরা হয়েছে লেখাটা। জাস্ট একঘর। গুচ্ছ আনন্দ পেলাম।
ReplyDeleteআবার, সাংঘাতিক কমপ্লিমেন্ট। তবে, ভণ্ড নোংরা বললে সেটা কি পরিষ্কার বোঝায়?
Deleteeven for someone who no longer believes in cricket, this is beautiful...just love the way you wrote it..All the greats you quoted would have loved it too...
ReplyDeleteKi muskil sarodindu ta special mention pachche na kyano....oi ...tinte - panchta r moto romantic shobdo khub kom achhe....ar purnendu potri ta je ki kore samlalen ....ek kothay onobodyo....
ReplyDeleteআমি ১০০ শতাংশ একমত। তিনটে-পাঁচটার মত রোম্যান্টিক লাইন বাংলা ভাষায় দুর্লভ। ঐর'ম গল্পও।
Deletejust jata.....jake bole reetimoto faaTiye diyechho!!!
ReplyDeleteThank you!
DeleteJust. Just incredible. Aar, oi আমরা: পঞ্চাশ করে দে বস্, তাহলেই হবে। sentiment ta je ki shotyi se amra jara aj mathe chhilaam tarai jani!!!!
ReplyDeleteআমার আর টিকিটই জুটল না।
DeleteInclude translation please.
ReplyDeleteNo.
DeleteDarun Bhalo Laaglo....but had to get it translated back to Bangla again.
ReplyDeleteI'm clueless about what the second part meant, but still thanks.
Delete:) apni to reetimoto goyenda moshai! dhanyabad eta jonnyo.
ReplyDeleteআরে, ধন্যবাদ তো আমার দেওয়ার কথা!
DeleteNot that i do not know how to read bangla,this post is a threat to national integration.
ReplyDeleteMy bad. My apologies.
Deleteboddo bhalo
ReplyDeletemon bhalo kore dilo
Thank you!
DeleteJust Osadharan.. "ki korbo , obyes" hahaha
ReplyDeleteলীলুপিসি বলে কথা!
DeleteWonderful. When he got out, I did indeed think, 2nd innings. Shoot … that did not happen.
ReplyDeleteSpare a thought for me. I did not even get a ticket.
DeleteDon't undersand. You chose not to get a ticket for the test (I think that is fine to choose), or you had a ticket for the last two days
Deletehoping to see Sachin bat? That would be bad luck, though I probably would have liked to see him bat in the first innings.
I tried my heart out but did not get a ticket for the first three days. Maybe I could have got for the last two. Not sure, though.
DeleteBad luck … should have started early (I guess the test was not announced that early), or got hold of someone who has a membership ;)
DeleteI did. I did. I did.
DeleteAnd things go the same way in Mumbai.
DeleteThey were supposed to. :)
DeleteRotra!
ReplyDeleteDunia shuddhu lokjon ke porey shonachhi eta.
ReplyDeleteThank you, thank you.
Deleteosadharon.........great depth.......onek bochorer porasuno ar khub valo analytical & obsevation power na thakle erokom lekha somvob noi........
ReplyDeleteThank you, thank you.
DeleteJust fatafati hoyeche....Ajay Basu'r commentary to kokhono nije shunini, just Ma-Baba'r kach theke shona....1st time shonanor jonye anek dhonyobad.....
ReplyDeletewant to share something with you...during Sachin's felicitation at Eden, when Sachin was hugging Saurav suddenly my eyes got moist....you know I've never been much of a Sachin fan, but still I felt bad thinking that just after one more test cricket would never be same for me....the last thread of emotional attachment that I have with the game is getting torn....after the wankhede test I'll be watching cricket just like I watch any other sport, cricket will no longer be the special sport for me....not even Rahul Dravid's retirement could do it...but Sachin's retirement certainly has
তার একটা কারণ প্রাক্-শচীন যুগের কোনও স্মৃতি নেই তোর। শচীন ছাড়া ক্রিকেট দেখিস্নি।
Deleteদ্বিতীয়তঃ, দ্রাবিড়ের অবসর নেওয়াটা হঠাৎ করে হয়েছে, শচীনেরটার মত প্রস্তুতি ছিল না।
Though I can't read the script,my guess is it's about Sachin.
ReplyDeleteI hate cricket and watched only during world cup when Tendulkar had a sizeable task on his hands.I have no memory whatsoever of cricket before him and cannot understand why anybody would be interested in watching cricket after him.
The best thing he can now do is to throw his weight behind other sports,and if he is sensible and patriotic,he will soon start thinking in that direction.Since you will have to find other distractions post his retirement,I would suggest you translate all your Bangla posts written previously including this.
Yes, for a lot of people of our generation, pre-Tendulkar memories are quite faint.
DeleteBy the way, when you mean "other sports", do you mean those lesser sports played in shorts?
Daaru...n
ReplyDeleteTha...nk you.
DeleteAnd order has been restored :)
ReplyDeleteWhat order? :O
Deletedarun :-)
ReplyDeleteThank you. :
Deleteeta anek late e porlam. kintu eto osadharon lekha khub besi porini, emonki tomar blog eo na. khub kharap samaye ei lekhatar kache barbar phire aste habe.
ReplyDeleteGunamugdha
হে গুণমুগ্ধ, অজস্র ধন্যবাদ!
Deletebherry interesting ... শুধু সত্যজিৎ টা আমার ভার্সনে এরকম হত-
ReplyDeleteসৌরভঃ অবসরের পরেও ক্রিকেটে টিকে থাকতে ক্রিকেটীয় স্কিল নয় রে ব্যাটা, অন্য কিছু দরকার।
সচিনঃ কি?
সৌরভঃ মগজাস্ত্র।
আপনারটাও খাসা হয়েছে মশাই!
Deleteabar. boddo bhalo!!!!!!!!!
ReplyDeleteditee
ধন্যবাদ!
Deleteei atto popular lekhata ayddine porsi ami ....... ei line ta kar moto holo abhishekda? :D (karo motoi noy bodhoy :P)
ReplyDeletetomar blog khulechi mane aj manager er theke jhar khabo ami.......
btw, amar kintu Ajoy Bosu ta protyekbar pore protyekbar i hasi peyeche, repeatitive lekha ekgheye na kore repeatedly hasyokor rekhe jawa.. just fatafati....
এ বাবা, বাড়ি গিয়ে পড়্! বসের কাছে ঝাড় খাস্ না!
Delete"Eden er dorshok" aar "Shochiner wicket prapti" - Ei duto bishoye "Aajkaal" aar "Ajoy Bosu" ditto same jinish likheche/boleche. Eta ki intentional?
ReplyDeleteহয়ত।
Delete