BANNER CREDITS: RITUPARNA CHATTERJEE
A woman with the potential to make it big. It is not that she cannot: she simply will not.
PHOTO CREDITS: ANIESHA BRAHMA
The closest anyone has come to being an adopted daughter.

Wednesday, February 26, 2014

অমরত্বের প্রত্যাশা? তা সৃজিৎ করতেই পারে।


ডিস্ক্লেমর ১ — আমি জাতিস্মর খুব ভালবাসি এমনিতে। আমার স্বপ্ন ছিল আমি জাতিস্মর হব, হতে পারিনি। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে সিনেমা দেখা। আমি 'ওম শান্তি ওম' বারদশেক দেখেছি।
ডিস্ক্লেমর ২ — ডিস্ক্লেমর ১-এর সঙ্গে বাকি লেখাটার কোনও সম্পর্ক নেই।
ডিস্ক্লেমর ৩ — কিছু স্পয়লর আছে।

***

একটা গল্প দিয়ে শুরু করি।

আমি আমার বন্ধু অমিতাভর সঙ্গে 'জাতিস্মর' দেখতে গেছিলাম। সিনেমা শেষ হতে অমিতাভ বলল "শেষে সুমনকে এনে সৃজিৎ চীটিং করেছে।"

কী চীটিং? না, যেটুকু যা খারাপ লাগার সম্ভাবনা ছিল, সুমনকে এনে তার ছিটেফোঁটাও আর রইল না। সিনেমাটা ভাল লাগা ছাড়া আর বিশেষ অপশন রইল না। কিন্তু মূল সমস্যা হল, সুমন শুধু শেষটুকুতে নয়, সিনেমা জুড়ে হৈহৈ করে ঘুরে বেরিয়েছেন। ভদ্রলোক বেশ দাপটের সঙ্গে ফিরে এসেছেন।

সে যাক্‌, মূল কথায় আসি। যীশুকে অবশেষে মানিয়েছে (যদিও গুজরাতি উচ্চারণটা কেমন যেন ঠেকল; সেটা কি আমি গুজরাতি বুঝি না বলে?); স্বস্তিকাকে আর কিছু না লাগুক, স্মার্ট লেগেছে; কিন্তু বাকিরা?

তিনটে মারাত্মক কাস্টিংএর কথা না বললেই নয়। তমাল রায়চৌধুরীকে দিয়ে শুরু করি; আমি সিরিয়সলি ভাবিনি তমালবাবুকে এইধরনের ভূমিকায় নেওয়ার কথা কেউ ভাবতে পারে, কিন্তু কী অদ্ভুত সাবলীল পার্ফর্মেন্স! অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (যাঁর প্রতি আমার ঈষৎ দুর্বলতা আছে) সম্পর্কে বলে জায়গা নষ্ট করতে চাই না; লাস্য, কুহক — এইজাতীয় কথা বইয়ে পড়েছি, কিন্তু বাংলা সিনেমায় বোধহয় এই প্রথম দেখলাম (এমনি এমনি ব্যথা হয়নি)। 

বাকি রইলেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। খুব অল্প কথায় বলতে গেলে, শুধুমাত্র ঐ একটা দৃশ্যই প্রসেনজিৎ ডমিনেট করতে পারেননি। বাকি সিনেমটা কুশল হাজরা আর হেন্সম্যান অ্যান্টনির; কিন্তু ঐ পাঁচটা মিনিট আদ্যোপান্ত ভোলা ময়রার, সেখানে বাকি কারুর প্রবেশ নিষেধ।

প্রসেনজিৎ নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। এটা এই দুটো যে আজ অবধি সেরা অভিনয়, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ঋতুপর্ণ মারা যাওয়ার পর প্রসেনজিতকে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল, কিন্তু এবার পুরোপুরি ঘুচে গেল।

বাকি রইল টেকনিকল কচ্‌কচি। সেট, চেক্‌; কস্ট্যুম, চেক্‌; চিত্রনাট্য, চেক্‌; সংলাপ, চেক্‌; গান, বিশেষ বুঝি না, তাও চেক্‌, কারণ সিনেমার বাইরেও শুনেছি; কোরিওগ্রাফি, চেক্‌; ক্যামেরা, সীমিত জ্ঞান অনুযায়ী চেক্‌; রিভিউ শেষ। খুব ভাল সিনেমা, সবই বেশ ভাল, অনেক হাততালি, স্ট্যান্ডিং ওভেশন, মুখে ফুলচন্দন পড়ুক্‌, আরও নানারকম যা যা হয়।

***

এ তো গেল রিভিউ। আমি নিশ্চিত যে আজ অবধি 'জাতিস্মর'এর যতগুলো রিভিউ হয়েছে তার মধ্যে এটা অন্যতম খাজা রিভিউগুলোর একটা। কিন্তু বস্‌, "সিনেমা কেমন লাগল?"র উত্তরে তো স্রেফ রিভিউ লিখলে চলে না - অন্যান্য দু-একটা কথাও বলতে হয়।

জাতিস্মর ব্যাপারটা আমার কেন ভাল লাগে, এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি; জাতিস্মরের কন্সেপ্টটার মধ্যে তিনটে বেশ কঠিন জিনিস জড়িত — মৃত্যু, স্মৃতি, আর সময়। কীভাবে?

মৃত্যুটা বোঝানোর মধ্যে যাচ্ছি না। মৃত্যু জাতিস্মরের ডেফিনিশনের অন্তর্গত, ওটা বাদ দিয়ে হয় না। ওকে রাখতেই হবে। স্মৃতিও ঠিক তাই।

সময়ের ব্যাপারটা একটু ট্রিকি। আমি আছি এই জন্মে, কিন্তু পূর্বজন্মের ফ্ল্যাশব্যাক আসে, আর সেটা ক্রমশঃ ডমিনেট করতে থাকে। মুকুল আদৌ ইন্টারেস্ট পেত না বর্তমান জীবনে; প্রাপ্তবয়স্ক কুশল হাজরার পক্ষে কিন্তু ব্যাপারটা একটু অন্যরকম।

মুকুল বোঝেনি যে সোনার কেল্লার পেছনে ছোটাটা অর্থহীন, কারণ কেল্লাটা পেলেও সময়টাকে ফেরত পাওয়া যায় না; চন্দননগরে পৌঁছনো সত্ত্বেও অবর্ণনীয় কষ্টের উপশম না হওয়ায় কুশল হাজরার সেই উপলব্ধি হয়েছে।

কী মারাত্মক সেই উপলব্ধি! একটু একটু করে আরেকটা অস্তিত্ব আমাকে গ্রাস করছে — কিন্তু তাকে ছোঁওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রতিমুহূর্তে পূর্বজন্মের ফ্ল্যাশব্যাক দুমড়ে-মুচড়ে-নিংড়ে শেষ করে দিচ্ছে, কিন্তু ফেরা সম্ভব নয়। সেই একই জায়গা, একই সূর্য, একই বাতাস — কিন্তু চ্যাম্পিয়ন কবিয়াল শেষে অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ন? আর সেটাও যদি মেনে নেওয়া যায়, সৌদামিনী?

প্রেম কতরকমের হয়? আর প্রেমে অপ্রাপ্তি? তাইই বা কত রকমের? আমি আমার প্রেমিকাকে পেলাম না, অন্য কারুর প্রেমে পড়লাম; আমার প্রেমিকা মারা গেল, আমি কাটিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে আঁকড়ে ধরে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিলাম, বা বড়জোর 'মূভ অন' করলাম।

কিন্তু এই যন্ত্রণা? দুজনেই ছিলাম; এখানেই; দুজনেই মারা গেছি, তুমি আগে, আমি পরে। তারপর? সব শেষ, তাই না? তারপর যদি আমি ফিরে আসি, সেই একই জায়গায়, আর এসে দেখি তুমি নেই? সবথেকে বড় কথা, তুমি যে নেই তার কারণ এই নয় যে তুমি চাও না, বা তুমি চলে গেছ, বা এমন কী তুমি মারা গেছ। এগুলো হয়।

এখানে ব্যবধানটা আরও বড়।

সময়ের ব্যবধান।

আমরা ছিলাম। দু'শো বছর আগে। আজ, দু'শো বছর পর আমি একা আছি। তুমি নেই। এই ব্যবধান মৃত্যুর নয় যে আমি মরলে সমস্যার সমাধান হবে; সময়ের দুর্লঙ্ঘ্য ব্যবধান পেরোব কীভাবে? এইখানে তুমি ছিলে, দু'শো বছর আগে, এইখানে, আমি তোমাকে দেখেছি, পেয়েছি, তোমার সঙ্গে মিলিত হয়েছি, আর আজ — আজ হাজার মাথা খুঁড়ে মরলেও দেখতে পাব না।

ভয়ঙ্কর না? স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে তোমাকে, কিন্তু হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারছি না; চোখের সামনে দেখছি আমি বাড়ি ফিরলে তুমি জল এনে দিচ্ছ, কিন্তু ফিরতে হচ্ছে নোনাধরা বাড়ির ম্যাদামারা বাল্‌বের জগতে, একা।

একা।

হয়ত দেখতে পাচ্ছি তুমি জড়িয়ে ধরছ, কিন্তু ধরছ না। তোমার হাসি দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু তোমাকে আদর করতে পারছি না। তোমার কান্না দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ঠোঁট দিয়ে চোখের জল মুছে নিতে পারছি না।

কিন্তু তাও নয়। সবথেকে বড় অসহায়তা এগুলোর একটাও নয়। সেটা আরও গভীর, আরও মর্মস্পর্শী।

ভাবি একটু? আমি কাউকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসি; আমি জানি কখন কীভাবে তার মৃত্যু হবে; আমি জানি কী কী না করলে তার মৃত্যু আটকানো যেত; কিন্তু তাও আমি বারবার দেখতে থাকব নিজেকে, একই ভুল করতে, আর প্রতিবার আমাকে এসে তার মৃতদেহ দেখতে হবে; আমি না পারব তার মৃত্যু আটকাতে, আর না পারব মৃতদেহ না দেখে থাকতে।

বারবার। কতটা সহ্যশক্তি লাগে বারবার এটা দেখতে? এটা দেখা আটকানোর প্রত্যেকটা চেষ্টা ব্যর্থ হতে? পারতাম? জানি না। পারতাম না।

আর তাই কুশল হাজরাকে বুঝলাম। আগে দেখেছিলাম স্ক্রিনে; দু'তিনদিন লাগল ভেতরে ঢুকে বুঝতে। আর তখন বুঝলাম কষ্ট ছাড়াও আরেকটা দিক আছে, আশার, আনন্দের।

একবার সৌদামিনীকে পাইনি, দ্বিতীয়বার তুমি মহামায়া হয়ে ফিরেছ কিন্তু তোমাকে পাওয়া হবে না — কিন্তু পরেরবার? তৃতীয়বার? আরও আগে অনেক অনেকবার হয়ত তুমি এসেছিলে — আমার মনে নেই সেইসব জন্মের কথা — কিন্তু এর পরেরবার? বা তার পরেরবার? অসহায়তা যেমন আছে, তেমন একটা অন্ধ আশাও তো আছে — একবার তো পাব? কখনও? সময়কে হারিয়ে দু'জনে এক হব? একবার তো অন্ততঃ তুমি জননী হবে, আর আমি পিতা? 

আর এই অসহ্য কষ্ট আর বুকভরা আশার টানাপোড়েনেই সৃজিৎ বাজিমাত করেছে। সৃজিৎ সময়কে বুঝেছে। আর আমাকে বুঝতে বাধ্য করেছে। আর বেশ ক'দিন ধরে ভাবিয়ে ভাবিয়ে আমার প্রাণ বের করে দিয়েছে। তাই যত দিন যাচ্ছে কুশল হাজরাকে একটু একটু করে বুঝছি।

স্ট্যান্ডার্ডটা পড়তে দিস্‌না বস্‌।

Sunday, February 23, 2014

Flavours

This story is the part of a contest for the #ConditionSeriousHai contest arranged by Cadbury 5 Star.

*** *** ***

Hurry up, now!
Just a minute…
Fast... what are you turning the lights on for?
I need to read this.
What do you want to read now?
This.
What the — why are you reading the instruction manual inside a packet of condoms? How old are you?
What do you mean?
Is this your first time or something?
Of course not!
Then?
How can I use something without reading the instruction manual? It may be risky! I may be allergic to it!
How can someone be allergic to rubber?
See, this is a new brand...
What do you mean, new brand?
I mean, this is chocolate-flavoured...
What the hell! It’s me who should be more concerned!
Erm, but what if we kiss afterwards? You know I’m allergic to chocolate!
What if we don’t kiss?
What’s the point of doing it, then?
Well...
Well?
Okay, you do have a point. Didn’t we get a strawberry one too?
Yes. We did. I had finished the manual for that before.
And?
It contains castoreum.
What?
Castoreum. It is typically used for vanilla flavour and is sporadically used as strawberry or raspberry flavouring, but these people use it here as well.
So?
Do you know that castoreum is typically extracted from what is almost the anus of a beaver? Do you really want to taste that?
Er, maybe not.
See?
What do we do, then?
I told you to get the normal ones, remember? You were the ones who wanted to taste the flavours!
Come on, none of my exes were willing to put them on. And for some reason I thought you will be game!
I was game. You have agreed now that we shouldn’t do it.
Hey, we can use them normally, can’t we? I mean, I can well not taste them…
What if the flavour — or some of it — somehow makes its way through our skin membranes?
Oh, come on! You know how much we’ve waited for this! Can’t we go ahead without the thing? You can take it out at the last moment?
What if I cannot? What if I cough or sneeze at the last moment? The thrust will be inwards, isn’t it?
Arre, then let it be! Nothing will happen!
What do you mean by that?
This is my safe period. It has been just a couple of days.
Are you aware that going according to the safe period is one of the more unreliable methods of birth control?
What do you mean? I have done that before and nothing has happened!
Are you sure that it won’t happen this time? I’m not going to risk anything!
Dude, the risk is mine!
I just don’t want to get involved in trouble of any sort.
You were the one who wanted it tonight!
I agree. But with proper protection.
Fine. I will take contraceptives.
Are you carrying some?
No, but we can always get some tomorrow morning.
What if we forget?
We won’t. I won’t, I mean. Can we please get about it now?
Just a second…
WHO ARE YOU TEXTING NOW?
I’m not texting. Just looking up.
Looking up what?
The side-effects of contraceptives.
… and?
They involve dizziness, headaches, nausea, and…
… and?
A reduced libido.
Seriously?
That’s what it says. See?
You’re right! What do we do now?
Are no drugstores open here at this hour?
Are you mad? This is a penthouse, for God’s sake! The only medical store here is half a mile away and doesn’t open till eight!
Can’t we sleep now and wait till eight…?
Are you crazy? I have a conference at eight! I need to leave at five! I have set the alarm at four!
Seems unlikely, then.
Hey, you know something?
What?
You know we can try out other positions, don’t you?
What are you talking about? Do you know how our tongues and mouths will get contaminated? One or both of us may be down with some incurable disease for life!
Does that really happen?
I have looked it up. Do you want to verify?
No, not really. I will take your word on this.
Thank you.
Damn — only if we had got those ordinary condoms! I had wanted this night so badly!
Well, are you sure plain condoms are safe?
They aren’t?
See, about eleven years back a couple had sued a condom manufacturer on the ground that the condom had split during some furious activity, which had resulted in the woman being impregnated.
WHAT? You’re not serious, right?
Dead serious. Nothing is safe.
Why were we using them today, then?
I would not have thrust hard enough, trust me.
Not even during the point of no return?
Not even then. I typically wear two condoms at the same time specifically for that reason.
I guess we should get our clothes back on, then, hug each other, and sleep.
Not so fast! Do you know how you can strain, dislocate, or even fracture a hand if you have a full human being resting on it?
Goodness! I have never thought of that!
You need to think. You’re never serious!
What do we do now?
Sleep, I guess. Or maybe play ludo. Or whatever.
I should not have come here, after all.

*** *** ***

Hello?
Wow! You! Where were you? You never took my calls, never responded to me on email, Facebook, and suddenly after all these days…
Well, I’m in town now. Meet tonight?
Er, well, I’m married now.
Wow! That’s great news!
Can I bring them along?
Them? How many wives do you have?
Nope, just my children. A son and a daughter. Hey, why don’t you come up to our place? The kids have school tomorrow morning. My house is on…
Of course I will. Just text me the address. This number still works, as you can see.
Good, er… what about you? Did you get married?
Me? Oh, no, no! That night was a real eye-opener.
In what sense?
Well, I had that conference in the morning afterwards, remember?
Yes. So?
I quit immediately after that.
WHAT? And what did you do after that?
I took a sabbatical and eased myself down. You were right: I was not thinking hard. I took a break and sorted out a few things that had been going on inside my mind all these years but I had conveniently chosen to ignore.
What did you do after that?
I quit my job. Right now I’m on my own, freelancing.
That is excellent news! So what is it that do you do these days?
I am a motivational speaker. I have actually come here to deliver a few talks. They have also offered me to write a book.
A book? Wow! What are these talks about?
Platonic love.

Thursday, February 20, 2014

The obligatory February post

It is yet another February. It is just that I am not in Kolkata this time either.

Exile hurts. Self-exile, on the other hand, can be excruciating.

It will not be an exaggeration to call Kolkata February the best month in any place in the world. And this time I chose to miss it.

I chose to miss that smell of dry dust in Maddox Square in the evenings. The first time they brought the football out and tried to conquer the cricket battlefield.

I chose to miss that near-itchy feeling that makes you crave for someone would scratch your back for ten minutes (at least). You know what I am talking of, right? You sit under the ceiling fan, and then, suddenly at two in the afternoon you get the first prickly-heat feeling on your back, and…

I chose to miss Book Fair (which meant I lost a chance to get copies signed first-handed by Tanmay and Kuntala — two of my favourite authors — both of whose books came out this year). I do not miss Benfish, though. I wish I could finish an entire book on the grounds the way I did in 1997.

I chose to miss the late nights when you feel that a very light sweater wouldn’t have been that bad an idea. You work all day in an air-conditioned office till, say, midnight: and then, when your office transport races down the Eastern Metropolitan Bypass, you decide after a while that it is time you rolled up the window pane.

I chose to miss the month that evokes childhood memories the most.

I chose to miss the month that brings the orgasmic best out of ice-cream. Especially at Scoop.

I chose to miss Saraswati Puja for no apparent reason. Okay, maybe because girls used to look pretty in yellow sarees when I was young. Especially that girl I had seen crossing Manohar Pukur Road in 1991. I wonder what her name is.

I chose to miss the breeze against the shins for the first time in the year when I summon those shorts that had been tucked away neatly for winter.

I chose to miss facing the shower with my head held high for the first time in the year.

I chose to miss toying over that thin line between nothingness on one hand and the ceiling fan-quilt combination on the other.

I chose to miss the anxious, animated couples getting quieter inside the Nandan Complex as evening happened: after all, the excuse of shawls will not be an acceptable one for about a year.

I chose to miss watching the perfectly diagonal flight of those gray-white birds at Rabindra Sarobar. I wish I knew what they are called.

I chose to miss Kolkata turning a Pantaloon’s end-of-sale into a Choitro Sale.

Kolkata did not choose to disown me. When I look back at the barren sky on my way to work I realise it’s the same sky back there. I know it’s further towards the East — or rather, from where the Sun rises. I realise the Sun kisses my city on its way to this city; and then the rays kiss my cheek.


Maybe, just maybe, if I search frantically, there is a little bit of my city hidden somewhere in those rays.

Thursday, February 6, 2014

Dear Woody Allen

Dear Woody Allen:

It has been some time now since Dylan Farrow has come out with her open letter. The letter has been haunting me for the past few days. On one hand I am (note the tense) a diehard fan of your work; on the other hand I absolutely loathe you for what you had done to Dylan.

I have watched each and every movie (literally) you have directed and/or written and/or acted in (barring, of course, Fading Gigolo: I have still not managed to obtain a copy) and have watched as many documentaries on you as I could. Additionally, I have read through your Complete Works at breakneck pace.

I am not the only one, either. Your career has been a long journey punctuated by awards and achievements. They have a life-size statue of you at Oviedo.

I was really never bothered when you had a relationship with Soon-Yi Previn. Why? Because
-          You and Mia Farrow never married;
-          You did not adopt Soon-Yi: she had been adopted by André Previn and Mia Farrow;
-          Soon-Yi was an adult when the consensual relationship happened.
For these reasons I could never bring myself to dislike you. It had seemed like Manhattan all over again, only in real life.

So I continued to remain a loyal fan: I know my Annie Hall back to front; I can almost recite that confession in the penultimate scene in Manhattan; I often laugh out loud over Love and Death while walking alone; I revisited Play it Again, Sam by watching it after Casablanca; I did get goosebumps while watching Midnight in Paris; and Zelig still impresses me as much as any other movie in history.

I have always believed that an artist should be judged by his work – which is why I have immense respect for the works of Klaus Kinski and Roman Polanski (what is it with those -skis?) but loathe them as personalities. I have not stopped watching their movies (and will not, either) but would certainly not want to know them in real life.

With Woody it has been different. He is not just a great director or screenplay-writer: he was a person I had looked up to and respected; whose sense of humour I admired and even envied; he was a person I forgave despite the fact that he was in a relationship with Diane Keaton (sigh!); but this is different:
-          Woody Allen had adopted Dylan himself; and
-          Dylan was seven when the incident had taken place.

My daughter is ten. No, I cannot like this person anymore.

This was a huge decision for me – whether to give up on Allen completely. Of course, there was no doubt whatsoever that I respected his work as much as I used to do (though I must admit that I have to suspect the reason for making Match Point and Crimes and Misdemeanours – the foundation of which were based on guilt).

Nicked from the internet, as usual
However, do I respect him anymore? Do I look up to him? Am I jealous of his abilities? What about those outstanding one-liners?

Once again, with Kinski and Polanski things have been different: I never cared for them as personalities; they have been only artists to me, and continue to remain that way.

Not with Woody: he had made me laugh and pensive at the same time in a way nobody has been able to; I was Alvy Singer, I was Emmet Ray, I was Sid Waterman, I was Gil, I was Isaac, I was Boris, and I was Kleimnan. It was not as if I could relate to them: I was them.

My heart had a special corner for you, Woody Allen.

That has changed.

Now I am not them: I have distanced myself from them. I used to relate to them. Not that it matters to you, but I feel betrayed, Woody Allen.

You should not have done this to me.

This is simply not done.

Saturday, February 1, 2014

Peter Young-Husband wins Bob Cunis Award


Young-Husband eagerly clings on to the award
Picture courtesy: Nelson Mail (New Zealand)
Nobody knew of Peter Young-Husband till he pulled off that catch at long-on to dismiss Virat Kohli off Nathan McCullum earlier today, but that single incident turned him into an instant celebrity among the fairer sex, which led to him being the most recent recipient of the much-coveted Bob Cunis Award.

Billions of female followers, pouring over the live updates on the internet since morning to become proud witnesses of another Indian defeat, suddenly erupted in joy as the name was transmitted in text through cyberspace all around the world. There was no doubt whatsoever who the new winner would be!

“Young-Husband!” shrieked an eager fan that had already gone gaga over the name. “This was the person we had been waiting for!” Her friend, an ardent follower of the history of the sport, brought up the names of the likes of Julien Wiener and, more importantly, Peter Willey. “The bowler’s Holding, the batsman’s Willey” is a phrase buried somewhere in history, she reckons.

The Cummins, Anderson and Pat, had re-ignited the imagination over the past two decades, as had Craig Cumming and Trevor Gripper, all coming incredibly close to the award that had been held by Geoff Humpage for a long time. Stephen Rouse and Peter Sleep had come close, but with limited luck.

Arnie and Ryan Sidebottom, on the other hand, could only invoke laughter among the diehard fans of the sport, as had Ijaz and Salman Butt, Clyde Butts, and Jack Crapp — and most unexpectedly, Nathan Astle. None of them could get their hands on the award, though. None, however, had suffered the ignominy of Gladstone Small, the mention of whose name always caused general hilarity.

The heartthrob among the new generation of girls, of course, had been the South African wicket-keeper Quinton de Kock — the boy who had almost single-handedly batted India out of the recently concluded ODI series at home with his bat. “A name like de Kock can make your imagination go haywire,” a fan had confessed a couple of months back, her gaze transfixed at the huge scoreboard.

Indeed, de Kock had managed to cause a stir in the world with his appearance. Forgotten were eminent names like Ashley Woodcock, David Sincock, Paul Hitchcock, Neil Adcock, and the perhaps the one who had held the award for the longest time of them all, Jack Badcock, whose name often led people to ask “Why?” before they knew it.

There have been the romantic ones as well, like the Grace fraternity, Hammy and Martin Love, Alf and Bryan Valentine, Brian and Franklyn Rose, Andy and Grant Flower, Joe, Len, and Rick Darling, Blessing Mahwire – they were all there, but other than the occasional inspirations from Heath Streak, no one seemed to be able to capture the imagination of the women.

But Young-Husband indeed seems to be the craze of the moment. “It is always maturity over anything else” was the unanimous reaction from the women in the crowd, “and when we say anything, we mean it.” They also seem determined to refer to him as P Young-Husband instead of addressing him by his full name.

The Bob Cunis Award was rechristened after Alan Gibson had made his historic “neither here nor there” comment on Test Match Special. It was previously known as the Dick Spooner Award.

Followers