হাওড়া ব্রিজে উড্ডীন ডিটেকটিভ বেওমকেশ বাকশি Courtesy: India.com |
বেওমকেশ বাকশির সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল বোধকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনরূমে।
পয়সার আমার টানাটানি থাকার কথা ছিল না, কিন্তু পিতৃদেব যে শুধু
দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিলেন তাহাই নহে, উপরন্তু চাকরি হইতে বিতাড়িত হইলেন। তিনি
ঠিক কী করিতেন জানা নাই, কিন্তু শুনিয়াছি আফিম-কোকেন জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু লইয়া
নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করিতেন।
স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন
অতিবাহিত করিব, কিন্তু সে গুড়ে বালুকাকণা। পিতৃদেব একদিন বেবাক
নিরুদ্দেশ হইলেন।
কিন্তু ও কথা যাক্। এই কাহিনী বেওমকেশের। বেওমকেশ ছিল
বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। শুনিয়াছিলাম সে অতিশয় বুদ্ধিমান্। কীভাবে, কেন এই সুনাম তাহার জুটিয়াছিল, ইতিহাস তাহা মনে রাখে নাই। শাস্ত্রে লেখা আছে, পিতা নিরুদ্দেশ হইলে অপরিচিত ব্যক্তির সাহায্য লইতে হয়, তাই আচমকা তাহার শরণাপন্ন হইলাম।
বেওমকেশ মহা খলিফা ছেলে। সে কোনওরূপ সহানুভূতিজ্ঞাপক কথা তো বলিলই না,
উপরন্তু বুঝাইতে বসিল পিতৃদেব কীভাবে নিরুদ্দিষ্ট হইয়া থাকিতে পারেন। আমি বরাবরের রগচটা,
যুক্তির ধার ধারি না, ধাঁই করিয়া মুষ্ট্যাঘাত করিয়া বসিলাম।
ব্যাস্, অমনি বেওমকেশ কফিহাউসে গিয়া চা আর আলুভাজা খাইতে বসিয়া গেল। তাহার
পর কোনওরূপ ভণিতা ছাড়াই একদিন বেওমকেশ আর আমার বাক্যালাপের পুনরায় সূচনা ঘটিল।
বেওমকেশের জীবনে ইতিপূর্বে লীলার রূপ ধারণ করিয়া মদনদেব আবির্ভূত
হইয়াছিলেন, কিন্তু মদনদেবের লীলা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নহে। লীলা বেওমকেশকে
পত্রপাঠ লেঙ্গি মারিয়া কোন্ এক গোল্ড মেডালিস্টকে বিবাহ করিল।
সেই শুরু। তাহার পর হইতে বেওমকেশ জেমস বন্ডের ভাষায় কথা বলে। আমাকে সে
নাম বলিল, “বাকশি। বেওমকেশ বাকশি।”
চমৎকৃত হইলাম। সন ১৯৪৩। সিনেমা দূর অস্ত, ফ্লেমিংসাহেব বন্ডকাহিনী লিপিবদ্ধ করিতেও শুরু
করেন নাই। কলিকাতা শহরে নাম বলিবার এইরূপ পদ্ধতি অভূতপূর্ব। আমিও বলিলাম,
“ব্যান্ডো। আজিট্ ব্যান্ডো।”
অবিলম্বে মিত্রতার সূচনা হইল। যাহাকে ইংরেজিতে বলে বন্ড।
***
বেওমকেশ অবিলম্বে এক মেসে গিয়া উপস্থিত হইল। মেসের মালিক এবং
ম্যানেজার অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। বেওমকেশ পুনরায় নাম বলিল, “বাকশি। বেওমকেশ বাকশি।”
জনৈক ব্যক্তির পায়ে সম্ভবতঃ গুলি লাগিয়াছিল, ম্যানেজারসাহেব ‘এমন-তো-হইয়াই-থাকে’
গোছের মুখ করিয়া বলিলেন, “গুহা। আনুকুল গুহা।” বেওমকেশ পত্রপাঠ মেস-গুহায় প্রবেশ
করিল।
গুহামানব মেসের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহিত আলাপ করাইয়া দিলেন। বেওমকেশের
পাশে এক চীনেম্যান, তাহার নাম কানাই। নির্ঘাত লুকাইয়া আরশোলা খায়।
আমার পাশের ভদ্রলোকের নাম প্রফুল্ল রায়, বীমা কোম্পানির এজেন্ট। আমি স্তম্ভিত
হইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “সে কী, আপনার তো গ্রামোফোন-পিন ঘটনার আগে আসার কথা
নয়!”
প্রফুল্ল রায় হাসিল। এক একজন লোক আছে, তাহাদের মুখ দেখিতে বেশ সুশ্রী,
কিন্তু হাসিলেই মুখের চেহারা বদলাইয়া যায়। দেখিলাম, প্রফুল্ল রায়েরও তাহাই হইল।
জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কি অতিরিক্ত পান খান?”
প্রফুল্ল রায় ফিসফিস করিয়া বলিল, “খাই, তবে ব্যোমকেশের গল্পে।”
“অর্থাৎ?”
“অর্থাৎ, বুঝ লোক জান যে সন্ধান।”
বুঝিলাম। যেখানে প্রফুল্ল রায় সেখানেই পান। ব্যোমকেশের
কাহিনীতে সে পান খাইত। বেওমকেশের কাহিনীতেও পানের মুখ্য ভূমিকা অবশ্যম্ভাবী।
পরিস্থিতি অনুকূল দেখিয়া গুহাবাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এত যে
খাওয়াচ্ছেন, এ তো ১৯৪৩ সন! মন্বন্তর না? চাল বাড়ন্ত, কলকাতার চাল আসছে বর্মা
থেকে, দাম আকাশছোঁয়া, রাস্তাঘাটে মানুষ সামান্য ফ্যানের জন্য হাহাকার করছে...”
গুহাবাবু স্মিত হাসিলেন। “এই তো হেঁটে এলেন, একটাও বুভুক্ষু মানুষ
দেখতে পেলেন? ওসব ইতিহাসে হয়েছিল। বেওমকেশের গল্পের ব্যাপারই আলাদা।”
মানিতে বাধ্য হইলাম। ভৃত্য আরেক দফা ভাত দিয়া গেল। লক্ষ্য করিলাম, সে অতিশয়
ক্ষীণজীবী, হাত ঠকঠক করিয়া কাঁপিতেছে।
নাম জিজ্ঞাসা করিলাম। পুঁটিরাম। তাহার ঐ এক অসুখ, হাত স্থির হয় না।
***
পরদিন সকালে বেওমকেশ গঙ্গার ধারে আসিয়াছিল, জনৈকা মহিলা কস্ট্যুম
পরিয়া গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন। আমি বলিতে গেলাম, ১৯৪৩, গঙ্গায় মড়া ভাসিতেছে... কিন্তু
দেখিলাম, তাহার চিহ্নমাত্র নাই।
ভাবিলাম, বেওমকেশের কাহিনীতে সবই সম্ভব। জিজ্ঞাসা করিলাম, “বেওমকেশ?
ইনি কে? ইনি কি গুপ্তচর?”
বেওমকেশ হাসিল। “নাঃ। মনে হয় ইনি মাতাহারি হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হয়ে
উঠতে পারেন নি। এঁর নাম আঙুরীদেবী, ইনি অভিনেত্রী।”
“আঙুরীদেবী?”
“আঙুর শুনেছ তো?১৯৪৩ মানে টালিগঞ্জের আদিযুগ। ইনি স্বস্তিকা
মুখোপাধ্যায়। মনে করে দেখো, ইনি কদলীবালা নামেও অভিনয় করেছেন।”
“কিন্তু বেওমকেশ... স্বস্তিকা... আঙুর...”
“তুমি একটা ইয়ে। এখন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে? নাৎসীদের চিহ্ন কী?”
মুহূর্তমধ্যে দিব্যদৃষ্টি লাভ করিলাম।
আঙুরীদেবী অতিশয় লাস্যময়ী মহিলা। ইতিমধ্যে সত্যবতীর আবির্ভাব ঘটিয়াছে।
সত্যবতী সেলাই করে এরূপ প্রমাণ পাই নাই, কাজে থিম্বল-সংক্রান্ত জটিলতা নাই।
মেডিকাল বইয়ের লাল পেন্সিলের দাগের প্রশ্নই ওঠে না, কারণ সুকুমার এখানে
স্বাধীনতা-সংগ্রামী।
আঙুরীদেবী জিজ্ঞাসা করিলেন, “বেওমকেশবাবু, আপনি কি ব্যক্তিগত
প্রপার্টিতে ঢুকে থাকেন?”
বেওমকেশ অদম্য। “কোথাও তো লেখা ছিল না যে প্রপার্টি আপনার
ব্যক্তিগত।”
আঙুরীদেবী হাসিয়া উঠিলেন। “আপনার বেডরূমের বাইরেও তো লেখা থাকে না যে
ব্যক্তিগত, আমি কি ঢুকি?”
অকাট্য যুক্তি। অবিলম্বে প্রস্থান করিলাম।
***
আঙুরীদেবী বাথটবে শুইয়া ছিলেন। আকণ্ঠ
সাবানের ফেনা, তাহার উপরে দুগ্ধফেননিভ মসৃণ ত্বক। বোম্বাইয়ের ভবিষ্যৎ নায়িকাকুল
লাক্স মাখিয়া এইরূপ স্নান করিয়া বিখ্যাত হইবেন। অপরূপ সে লাক্সারি।
বেওমকেশ প্রবেশ করিয়া মূঢ়বৎ দাঁড়াইয়া রহিল, অতঃপর চক্ষু অবনত করিল।
আঙুরীদেবী বলিলেন, “নারীর জীবনে স্নানের থেকেও ব্যক্তিগত কী, জানেন?”
বেওমকেশ জীবনে এইরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হয় নাই, নির্বাক চক্ষে আঙুরীদেবীর
নিরাবরণ কণ্ঠদেশ পর্যবেক্ষণ করিতে লাগিল।
“ব্যাগ। আপনি আমার ব্যাগ ঘেঁটেছেন, এরপর স্নানের সময় আপনি থাকুন-না
থাকুন, আমার কিছু যায় আসে না।”
এহেন যুক্তির বেড়াজালে পরাজিত হইয়া বেওমকেশ পত্রপাঠ প্রস্থান করিল।
***
ইতিমধ্যে নানাবিধ ঘটনা ঘটিতেছিল। গুহাবাবু ও বেওমকেশ কারখানার তালা
ভাঙিতে গিয়া বিহারী দরোয়ানের হাতে ধরা পড়িলেন। বেওমকেশ গুহাবাবুকে বলিল ইংরেজি
বলিতে, তিনিও প্যারী সরকারের ফার্স্টবুক ভুলিয়া “মেরি হ্যাড্ আ লিট্ল্ ল্যাম্”
আবৃত্তি করিতে লাগিলেন।
কারখানায় পিতৃদেবের মৃতদেহ আবিষ্কার হইল; তাহার পর মানুষ টপাটপ্ খুন
হইতে লাগিল। ওয়াটানাবে নামক জাপানী দন্তচিকিৎসকের চেম্বার গিয়া শুনিলাম
মধ্যাহ্নভোজনের পর তাঁহার চিকিৎসায় রুচি থাকে না; তখন তিনি জাপানী ভাষার ক্লাস নেন।
শুনিয়াছিলাম পুরাতন কলিকাতার অধিকাংশ দন্তচিকিৎসক চীনদেশোৎপন্ন ছিলেন।
জাপানদেশীয় ভদ্রলোকের এইরূপ দ্বিবিধ কার্যকলাপ শুনিয়া বিস্মিত হইলাম। ভক্তি আরও
বাড়িয়া গেল, যখন ওয়াটানাবে বেওমকেশের উপর কেন্দোর প্যাঁচ কষাইলেন।
কেন্দো মারিয়া ওয়াটানাবে কহিলেন, “ইটস ডিফারেন্ট।” ঘাবড়াইয়া গেলাম। ভাবিলাম, ম্যাগি কোম্পানির বোতলবন্দী মিষ্টকটু বিলাতী-বেগুন-ক্বাথের কথা বলতেছেন।
***
কেন্দো মারিয়া ওয়াটানাবে কহিলেন, “ইটস ডিফারেন্ট।” ঘাবড়াইয়া গেলাম। ভাবিলাম, ম্যাগি কোম্পানির বোতলবন্দী মিষ্টকটু বিলাতী-বেগুন-ক্বাথের কথা বলতেছেন।
***
ফিরিয়া আসিয়া বেওমকেশ কহিল, “আই অ্যাম আ মোরন। ”
১৯৪৩এর কলিকাতায় এইরূপ ভাষা শুনিতে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। “বেওমকেশ,
মোরন মানে কী?”
“মোরন মানে জানো না? মোরনদশা!”
মোরন ইত্যাদি বলিয়া বেওমকেশের বায়ু কুপিত হইল, পেটের রোগ দেখা দিল।
সত্যবতী মেসে উপস্থিত হইল, কিন্তু তাহা নিতান্তই সমাপতন। সে আসিয়াই বেওমকেশের
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করিতে ব্যগ্র হইয়া উঠিল, আর বেওমকেশকে বলিল, সুকুমারকে
বাঁচাইতে পারিলে বেওমকেশ যাহা চাহিবে, সে তাহাই দিবে।
সত্যবতী যাইবার পর বেওমকেশকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ঘর অন্ধকার করে
রেখেছিলে কেন?”
“একে নোয়ার এফেক্ট বলে। তুমি বুঝবে না। এখানে দরকার ছিল না, কিন্তু
তাও এটা দেওয়াটা স্টাইল।”
অগত্যা চুপ করিলাম। সেই রাত্রে বেওমকেশ হেরোইন খাইয়া চুন-খয়ের দিয়া
দেওয়ালে শিল্পকর্ম সম্পন্ন করিল। পরদিন সে এক কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে উপস্থিত হইয়া
লীলার স্বামীর সন্ধান করিল। ভাবিলাম বেওমকেশ তাহাকে উত্তমমধ্যম দিবে, কিন্তু সে
রক্তপরীক্ষা করাইয়া প্রস্থান করিল।
শীঘ্রই বেওমকেশ আক্রান্ত হইল। আমি সকলকে উত্তমমধ্যম দিলাম (আজিট
ব্যান্ডো অত্যন্ত বলবান্ ব্যক্তি), কিন্তু জানিতে পারিলাম এই ঘটনার হোতা স্বয়ং ডেপুটি
কমিশনার উইল্কি। যাবতীয় পরিশ্রম জলে যাইল, লাভের মধ্যে জানিতে পারিলাম আমাদের
মেসের চীনেম্যান স্বয়ং পুলিশ কর্মচারী।
***
অতঃপর শেষ দৃশ্য। বেওমকেশ কাহিনী বলিল সকলকে। গুহাবাবু হাসিতে
লাগিলেন। ভাবিলাম, তাঁহার হাঁপানির টান উঠিয়াছে, কিন্তু এ সত্যই হাসি।
গুহাবাবু এক হেরোইন পাচারকারী; জাপানীদের সঙ্গে হাত মিলাইয়া তিনি
কলিকাতা দখল করিতে চান। এই মন্বন্তরের বাজারে কলিকাতা দখল করিলে জাপানীদের আদৌ লাভ
হইবে কিনা তাহা ভাবিতে বসিলাম, কিন্তু উপলব্ধি করিলাম বেওমকেশের কাহিনীতে অন্নাভাব
হয় না।
জানিতে পারিলাম আঙুরীদেবীর প্রকৃত নাম ইয়াসমিন; তিনি একজন গুপ্তচর (মাতাহারি
হইবার শখ ছিল কিনা তাহা অজানাই রহিয়া গেল) এবং গুহাবাবুর প্রেমিকা। রেঙ্গুনে তাঁহাদের
প্রেমের সূচনা ঘটিয়াছিল। গুহাবাবুর প্রকৃত নাম ইয়ুং গন। রেঙ্গুনের নাম যে পরবর্তীকালে
ইয়ঙ্গন হয়, তাহা সম্ভতঃ ইয়ুং গনের নামেই।
ইয়াসমিন গুলি চালাইল, কিন্তু ইয়ুং গন অজর অমর অদাহ্য। তিনি শুধু
যে অক্ষত রহিলেন তাহাই নহে, ছুরিকাঘাতে প্রেমিকাকে হত্যা করিলেন। অতঃপর সাইরেন
বাজিতে লাগিল ও দুর্ধর্ষ অন্ধ চৈনিক দস্যু দলবল লইয়া আসিয়া পড়িল ও ইয়ুন গংকে লইয়া
প্রস্থান করিল।
পরদিন প্রভাত। বসন্ত পঞ্চমী। আমি বাগ্দেবীর
পূজারী, কিন্তু সরস্বতী পূজার ব্যাপারে আমার বিশেষ আগ্রহ নাই। পুঁটিরামকে চা করিতে
বলিলাম, আর মুগ্ধদৃষ্টিতে দেখিলাম, সুকুমারের প্রাণরক্ষার বিনিময়ে বেওমকেশ
সত্যবতীকে বিবাহ করিতে চায়।
দুর্ধর্ষ চৈনিক দস্যুদের হত্যা করিয়া অন্যত্র ইয়ুন গং বেওমকেশের উপর
প্রতিশোধ লইতে বদ্ধপরিকর হইলেন। বেওমকেশ তাহা জানিতেও পারিল না।
যেমন আমি জানিতে পারিলাম না, বেওমকেশ কেন জানিতে চাহিয়াছিল, আমি তাহার
অপেক্ষা জ্যেষ্ঠ না কনিষ্ঠ। “অর্থমনর্থম্”এ একটা ব্যাখ্যা ছিল বটে, কিন্তু
বেওমকেশ তাহার ধার ধারে নাই।
***
উড়ন্ত বেওমকেশের দুরন্ত ছায়াছবির এখানেই পরিসমাপ্তি।