চল্লিশ বছর বয়স হল।
বাজে, মিথ্যে ইমেজ বানিয়ে চলারও প্রায় সাঁইত্রিশ-আটত্রিশ বছর হল বৈকি।
ঠিক করেছি এবার ঢপ্বাজি বন্ধ করে কয়েকটা টুকটাক স্বীকারোক্তি করব। এটা প্রথম। গ্যারান্টি দিচ্ছি না আরও থাকবে, কিন্তু এটা থাকবেই।
মহালয়া নিয়ে ন্যাকাপনা আমি ছোটবেলা থেকে করে এসেছি। ভোর চারটের সময় অ্যালার্ম দিয়ে উঠেছি। প্রচুর লোককে বলেছি আমার দারুণ ভাল লাগে, গায়ে কাঁটা দেয়, নিজেকে বাঙালি মনে হয়, দেবীপক্ষ নিয়ে একটা বেশ শিহরণ জাগে এটসেট্রা এটসেট্রা।
যারা ওঠেনি তাদের নির্লজ্জের মত হ্যাটা করেছি “বাঙালি হওয়ার যোগ্যতা নেই, নাকউঁচু, ট্যাঁশ” ইত্যাদি বলে।
আসলে হিপোক্রিসি করেছি, কারণ আমার মহালয়া শুনতে রীতিমত খারাপ লাগত। বরাবর।
মাইরি বলছি, বছরের পর বছর ভোর চারটের সময় উঠছি, আর কোনওবার সোয়া চারটে অবধি টানতে পারিনি। ঐ আলোর বেণুটেনু দুয়েকটা কোট করতে শিখে গেছিলাম, কিন্তু ঐটুকুই।
আমি নিশাচর প্রাণী, ভাবতাম ভোরে উঠতে কষ্ট হয় বলে হয়ত মহালয়া শোনার বিশেষ প্রভাব পড়েনি।
কিন্তু তারপর দুটো কেস স্টাডি করলাম, তাও কয়েক বছর ধরে।
১) ভোরে উঠে কোনওকিছু শুনলে কি আদৌ আমার গায়ে কাঁটা দেয়? নাকি ঘুম ব্যাপারটা এতটাই শক্তিশালী যে কোনওকিছুই বিরিয়ানি মনে হয় না?
উত্তর। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের গলা শুনে আজ অবধি গায়ে কাঁটা দেয়নি। কিন্তু তার মাস দু’তিন পর দিত, ভোরে, রিচি বেনোর গলা শুনে, তাও অনেক পরে। তদ্দিনে মহালয়ার ঢপ্টা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
বেনোও গেছেন। ভোরও গেছে।
২) মহালয়া কি দিনের অন্য সময়ে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে?
উত্তর। এমপিথ্রির আমলে চেষ্টা করেছি। না বস্। আমার জন্য নয়। ঐ আলোর বেণু অবধিই টানা মুশকিল হচ্ছিল।
আমার জন্য মহালয়া নয়। তাই এবার থেকে আর শুনছি না।
কী করব, ভেতর থেকে তাগিদটাই এল না যে!
আপনারা যারা শোনেন, ভালবাসেন, শুনতে ও বাসতে থাকুন, প্লিজ। বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে। আমার দ্বারা আর হবে না।
হিপোক্রিসি করতে করতে আসলে বড্ড হাঁপিয়ে গেছি।
আপনারা যারা শোনেন, ভালবাসেন, শুনতে ও বাসতে থাকুন, প্লিজ। বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে। আমার দ্বারা আর হবে না।
হিপোক্রিসি করতে করতে আসলে বড্ড হাঁপিয়ে গেছি।
Aamaar ma protibar cheshta korto amake ghum theke othanor, mostly unsuccessful thakto. Biyer por Ami kokhono cheshta i korini.
ReplyDelete