মূল গল্প:
Wide O---
লেখক: Elsin
Ann Graffam
অনুবাদ নয়,
“ছায়া অবলম্বনে”
***
আজ সত্যিই
বেশি ঠাণ্ডা? নাকি আমারই মনে হচ্ছে?
দু’টো কম্বল
– না না, একটা লেপ একটা কম্বল – গায়ে দিয়েও কেউ ঠকঠক করে কাঁপে? মানছি শীতকাল, কিন্তু
দরজা-জানালা সব বন্ধ। আর তার মধ্যে ঐ রুম-হিটার, রাগী আগুনে চোখে আমাকে প্রায় ঝলসে
দিচ্ছে।
অথচ জ্বরও
নেই। মাথার পাশের টেবিলে থার্মোমিটারটা রাখা, তবে আরেকবার মাপার মানেই হয় না। আমি জানি
জ্বর নেই। দু’বার দেখেছি। ইন ফ্যাক্ট, স্বাভাবিকের থেকে কম টেম্পারেচর।
ঝুঁকি না
নিয়ে তাও ক্রোসিন খেয়ে নিয়েছি। হ্যাঁ, দু’টো বিস্কুট খেয়ে, তাই খালি পেটে ক্রোসিন খেয়ে
যে শরীর খারাপ লাগছে তাও নয়।
লেপটা আরও টেনে
নিলাম। কেন এত ঠাণ্ডা লাগছে? কেন এত অস্বস্তি হচ্ছে?
ঘরের ভেতর
কেউ আছে? না না, কে থাকবে?
ও তো কাল
সকালেই ফিরবে। একটা রাত্রি একা থাকতে এত অসুবিধে হচ্ছে কেন?
আর – এত শীত
করছে কেন?
ছোটবেলা থেকেই
আমার বাড়িতে একা রাত কাটানোর অভ্যেস নেই। বিয়ের পরেও হয়নি। ও অফিসের কাজে বাইরে
গেলে আমি বাপের বাড়ি চলে যেতাম।
এবারে আর সেটা
হয়ে উঠল না। একটা রাতের ব্যাপার, তাই অত পাত্তা দিইনি। এমন তো নয় যে একেবারে কোনওদিন
একা থাকিনি। থেকেছি, অস্বস্তি হয়েছে, তারপর এক সময় ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর ঘুম থেকে উঠে
আবার যে কে সেই।
আর এত শীত
তো করেনি। আর ভয়ও পাইনি।
ভয়।
সেই ছোটবেলা থেকে আমাকে সবাই ভীতু বলে।
হয়ত সেইজন্যই ভয় পাচ্ছি।
আচ্ছা, আমি সত্যিই কেন ভয় পাচ্ছি আজ?
বাড়িতে তো কেউ নেই। আমি একা তো। ভয়ের কী আছে?
নাকি আছে আর
কেউ?
না না, দূর,
অসম্ভব।
না, বরং ওকে
একবার ফোন করি।
না, মানে হয়
না। কাল ওকে ভোরে উঠতে হবে, আর দুপুরের মধ্যে চলেও আসবে।
আর আমারই বা
কীসের এত ন্যাকাপনা যে আমি একটা রাত্রি একা বাড়িতে থাকতে পারছি না?
না পারার আছেটাই
বা কী? কে কী করবে? কেউ নেই বাড়িতে, কেউ নেই, নেই, নেই, নেই।
আমি জানি যে
নেই।
কিন্তু এত শীত
করছে কেন? কী হয়েছে আমার?
আচ্ছা, হট ওয়টর
ব্যাগটা আনলে কেমন হয়? বাথরুমে ছিল, তাই না, বেসিনের নিচের ঐ ছোট ক্যাবিনেটটায়?
কিন্তু গরম
জল... ধুর্, আবার কে রান্নাঘরে যাবে?
ওঃ না,
গিজার আছে তো। নাঃ, উঠি।
বাবাঃ,
লেপের বাইরে তো ভয়ানক ঠাণ্ডা!
আলোটা
জ্বালি এবার।
একী, দরজা-জানালা
সব খো
No comments:
Post a Comment