BANNER CREDITS: RITUPARNA CHATTERJEE
A woman with the potential to make it big. It is not that she cannot: she simply will not.
PHOTO CREDITS: ANIESHA BRAHMA
The closest anyone has come to being an adopted daughter.

Friday, February 8, 2019

অলক্তার অসুখ


মূল গল্প: A Very Rare Disease
লেখক: Henry Slesar
অনুবাদ নয়, “ছায়া অবলম্বনে”

***

“তো, কী বলল ডাক্তার?

“কী আবার বলবে? এখন আমি পুরোপুরি ফিট।”

“ফিট তো বুঝলাম, কিন্তু হয়েছিলটা কী?”

“আরে, সে আর বলিস্‌ না। দাঁড়া, নামটা দেখে বলছি। এক মিনিট ধর্‌... এই যে... কা-স্টি-কো-নাই-স্টি-ভা-কা-নি-রা-গা-রি-সিস।”

“সে আবার কী?”

“কে জানে বাবা, আমি তো আগে নামও শুনিনি। ভারতবর্ষে নাকি এর আগে কারুর এ জিনিস হয়নি। ভাব্‌, এটা এত রেয়র যে কোনও উইকিপিডিয়া পেজ অবধি নেই।”

“তাহলে তোদের হল কীভাবে?”

“আমার কী মনে হয় জানিস্‌ শ্রীপর্ণা? এটা হয়েছে ঐ গত মাসে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে। ওখানেই হয়ত ছোঁয়াচ লেগে হয়েছে।”

“অসুখটা ঠিক কী বল্‌ তো?”

“এমনিতে কোনও সিম্পটম নেই। তারপর কয়েকমাস পর শুরু হয় অস্বস্তি, পেটের প্রবলেম, সর্দি-সর্দি ভাব, গা-হাত-পা ব্যথা, এইসব। মানে অস্বাভাবিক কিছু নয়। ধর্‌ তারপর তুই একদিন খানিকটা অধৈর্য হয়েই ডাক্তারের কাছে গেলি। তখন তুই জানতে পারবি। আর ততদিনে প্রায় সবকটা অর্গান ফেল করে গেছে, আর কোনও চান্স নেই। পুরো সাইলেন্টলি আসে।”

“মানে? তাহলে উপায়?”

“একমাত্র বাঁচতে পারিস্‌ যদি সময়মত ধরা পড়ে। আশিসের যেটা হয়েছিল। এমনিই চেকআপের জন্য ডাক্তাররের কাছে গেছিল, যায় বছরে একবার। উনিই দেখেটেখে বললেন কাস্টি – মানে, ঐ অসুখটা, খুব সিরিয়স, এক্ষুনি চিকিৎসা না হলে দেরি হয়ে যাবে।”

“কোন্‌ ডাক্তার?”

“আরে ঐ যে, ডঃ শুধাংশু রক্ষিত, উডল্যান্ডসে বসেন। শুনেটুনে যা বুঝলাম, ভারতবর্ষের কোনও ডাক্তারই কখনও সরাসরি এই অসুখটা হ্যান্ডল করেন নি।”

“তাহলে উনি?”

“কিন্তু ডঃ রক্ষিত অস্ট্রেলিয়ায় নাকি এটার সম্বন্ধে জানতে পারেন। এখানে এসে একটা কনফারেন্সে তিনি এটা নিয়ে বলেন। ওষুধও যা বুঝলাম গোটা দেশে একমাত্র ওঁর কাছেই আছে, অস্ট্রেলিয়া থেকেই আনিয়েছেন। সারতে অবশ্য সময় লাগেনি, কিন্তু ভয় পেয়েছিলাম সাংঘাতিক।”

“আমি এখনও একটু কনফিউজড। এটা ছড়ায় কীভাবে?”

“এমনিতে – ঐ আর কী, এইচআইভির মত, তবে ঐ, যেকোনও বডি কন্ট্যাক্ট থাকলেই ছড়ায়।”

“মানে? অস্ট্রেলিয়া তো তোরা দু’জনে গেছিলি, সেখানে গিয়ে আবার থার্ড কার সঙ্গে...?”

“আরে ধুর্‌, বললাম না? মোটামুটি অনেকক্ষণ বডি কন্ট্যাক্ট থেকেও হয়। আর আশিস্‌ ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে কাজ করে, ঐ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি। ডঃ রক্ষিত বললেন ঐ থেকেই। আর ওর থেকে আমার।”

“মানে জন্তুজানোয়ার থেকেও হয়?”

“তাই তো বললেন।”

“মারাত্মক।”

*

পরেরদিন বেলার দিকে উডল্যান্ডসে পৌঁছলেন অলক্তা। ডঃ সুধাংশু রক্ষিত বসেন এগারোটা থেকে একটা। সকালে ফোন করে তিনি জেনে নিয়েছেন বুকিংএর সময়। ওয়েটিংরুম থেকে খানিকটা দূরেই দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি, ডঃ রক্ষিতের দরজার ওপর চোখ রেখে।

এক সময় দরজা খুলল, আর সেলফোনে অন্যমনস্ক পেশেন্ট বেরিয়ে গেটের দিকে হাঁটা দিলেন। আর তখনই এগিয়ে এসে তাঁর গালে সপাটে চড় মারলেন অলক্তা।

“আমি জানতাম।” অলক্তার এই গলা অনেকদিন কেউ শোনেনি।

চড়টা আরেকটু পাশে পড়লে হয়ত ফার্স্টএড লাগত শ্রীপর্ণার। তবে অসুবিধে হত না, হাসপাতাল তো।

No comments:

Post a Comment

Followers